''ইট ইজ নট সুইসাইড, ইট'স মার্ডার। আমার আজকের এই অবস্থার জন্য শুধু সানি দায়ী। আল্লাহ যাতে ওর বিচার করে। আমার মৃত্যুর জন্য সানি দায়ী।
'' সুইসাইডাল নোটে এমন কথা লিখে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ক্রিকেটার আরাফাত সানির স্ত্রী দাবি করা নাসরিন সুলতানা। শুক্রবার সকালে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।বাবা-মা'কে লেখা সেই নোটে নাসরিন সুলতানা আরও বলেন, ''আল্লাহর রহমতে দুই হাত জোড় করে তোমাদের অনুরোধ করতেছি, দয়া করে আমাকে হসপিটালে নিও না।
''মরার পর মাটি দিও, কিন্তু হসপিটালে নিও না প্লিজ। এতো অপমান সহ্য না করে মরে যাওয়া অনেক ভালো। প্লিজ আমাকে মরতে দাও। ''
সুইসাইডাল নোটে নাসরিন সুলতানা আরও লেখেন, বিথী, কফিনের লকের পাসওয়ার্ড... কফিনে ও ড্রয়ারের পার্সে (পাশে) সব ফাইল ও কাগজপত্র আছে। 'মেইক শিওর দ্যাট' (নিশ্চিত করো) সানি'র যাতে উচিৎ শাস্তি ও বিচার হয়।
এদিকে শুক্রবার সকালে তাকে বিছানায় অচতেন দেখে প্রথমে আল মানার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ধানমণ্ডির রেনেসাঁ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে পাকস্থলি পরিষ্কার করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাসরিন এখন শঙ্কামুক্ত।
নাসরিনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ফোনে সানির সঙ্গে নাসরিনের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সবার অজান্তে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।
নাসরিনের ছোট বোন শারমিন সুলতানা বলেন, রাত ১২টার দিকে একবার ঝগড়া হইছে সানির সঙ্গে। এরপর আমি ঘুমাইছি। পরে রাত তিনটার দিকে ও (নাসরিন) মোবাইল ফোনে চিল্লাচিল্লি করছিল। সকালে তাকে অচেতন দেখে সবাইকে খবর দেই। টেবিলের উপর ট্রিপটিন ট্যাবলেটের খোসা পড়ে থাকতে দেখি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। পরে ১৯ জানুয়ারি ঢাকার আমিনবাজার এলাকা থেকে সানিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে নাসরিন সুলতানা নিজেকে সানির স্ত্রী দাবি করে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগে যৌতুক নিরোধ আইনে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আরেকটি মামলা করেন।