ওয়েবিনারের জন্য দুই শতাধিক সিভি পেয়েছি। কিন্তু মাত্র দশ ভাগও ভালো সিভি ছিলো না, যেটাকে একটা “গুড সিভি” বলা যায়। বিষয়টা প্রথমে একটু খারাপ লেগেছে। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে আমি তাদের জায়গায় দাঁড় করিয়েছি।
তাদের সময়টাতে নিয়ে গিয়েছি।দেখলাম, আমি সেসময় ঠিক তাদের মতোই সিভি সাজাতাম। সিভি’র যে একটা ফরমেট আছে, স্টাইল আছে, আর্ট আছে, প্রাসঙ্গিকতা আছে, কনটেক্সচুয়াল হতে হয় এবং সেটাও যে কিছুটা শিখতে হয়, সময় ব্যায় করতে হয়—সেটা হয়তো অনেকেই উপলব্ধি করে না।
এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার কালে, একজন স্টুডেন্ট খুব ভালো রেজাল্ট করেও অনেক সময় শুধু একটা অগোছানো সিভি’র জন্য হয়তো চাকুরিতে ডাকই পাবে না।
না পেলে হয়তো সে প্রার্থীকে পরবর্তীতে ডাকার আগ্রহই থাকে না। কারণ, সিভি’র তো অভাব নেই! বেশিরভাগ সিভি পাঠানো হয়েছে, কোন ধরনের বডি টেক্সট ব্যবহার না করে। যাস্ট সিভি পাঠিয়ে দিয়েছে! —এটা যে রুড, রুঢ়তা, এই বিষয়টুকু অনেক স্টুডেন্ট বুঝে না। অনেক ই-মেইলের কোন সাবজেক্ট পর্যন্ত ছিলো না।
বেশিরভাগ সিভিতে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো দিয়ে পৃষ্ঠা ভরা ছিলো। যেমন—এক্সটা কারিকুলাম এক্টিভিটিজ! কোন সংগঠণ করে, কোথায় ব্লাড ডোনেট করেছে, কেউ নৃত্য-গান-আবৃত্তি করতে জানে এবং পুরস্কার পেয়েছ এমনসব তথ্য। এমনসব তথ্যের ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছে ইউনিভার্সিটির নাম, প্রোগ্রামের নাম, রেজাল্ট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো।
পরকীয়া প্রেম; স্বামীকে নিরাপদে হত্যা করতে দরগায় ছাগল মানত! (অডিও)
ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করলেন নাসির
রাজধানীতে বাসায় ঢুকে মা-মেয়েসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
সৌদিতে প্রেম করে বিয়ে, স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে আসেন স্বামী!
অর্জনগুলো ছোট করে দেখার নয়। কিন্তু কিসের জন্য সিভিটা পাঠাচ্ছি, সেটার সাথে এগুলো প্রাসঙ্গিক কিনা—এই বিষয়টা হয়তো বুঝতে পারছে না। অথবা, আলসেমি করে চেইঞ্জ করা হয়নি। আলসেমি মানেই হলো—ননপ্রফেনালিজম! যেটার শিক্ষা বা বুনিয়াদ হতে হয় ঠিক এ বয়সটা থেকেই হতে হয়।
আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের এইসব জ্ঞান দিতে হবে। এগুলো মোটেও হেলা করার মতো বিষয় না। আমি যখন ইউনিভার্সিটি অব প্যানসেলভেনিয়াতে পোস্টডক করি, তখন দেখেছি বড়ো বড়ো প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ প্রবীন অভিজ্ঞদের এনে আমাদের রেজুমে চেক করানো হতো।
আমেরিকায়, রেজুমে মানেই হলো স্ট্রিকটলি দুই পেইজ। এবার আপনি যতো বড়ো পন্ডিতই হোন না কেন, এই দুই পেইজেই আপনাকে তুলে ধরতে হবে। এদেশে সিভি এবং রেজুমে—দুইটা আলাদা বিষয়। আলাদা ফরমেট।
স্টুডেন্টগুলোর সিভি দেখে, মেইল পাঠানোর স্টাইল দেখে নিজেরই খারাপ লেগেছে। কেউই তো মায়ের পেট থেকে শিখে আসে না। পরিবেশ তাকে আলাদা করে তোলে। এই ছেলে-মেয়েগুলোকে আগে একটা সিভি সাজানো শেখাতে হবে। মেইল পাঠানো শেখাতে হবে। আমাদেরকেই কম-বেশি এগিয়ে আসতে হবে। কী-ই বা করার আছে!
রউফুল আলম, নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র।
news24bd.tv আয়শা