কোচিং সেন্টারে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা শিক্ষক-ছাত্রী

কোচিং সেন্টারে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা শিক্ষক-ছাত্রী

অনলাইন ডেস্ক

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার এক কোচিং সেন্টারে শিক্ষক-ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের অবরুদ্ধ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় মাধ্যমিক স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক হায়দার আলীর শাস্তি দাবি করে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয়রা।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিংয়ে পড়ানোর এক পর্যায়ে তার স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে নিয়ে পাশের রুমে গিয়ে বের হচ্ছিলেন না। তখন ছাত্র-ছাত্রীরা উঁকি দিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে রুমটিতে তালা লাগিয়ে দেয় বলে স্থানীয়রা জানায়।

আরও পড়ুন:


গুজব ছড়িয়ে খাটাশ হত্যা

পাল্টা মামলার কথা ভাবছেন আসিফ

চারদিক থেকে ঘিরে আ.লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

সাতক্ষীরায় মেয়র হলেন বিএনপি প্রার্থী

চৌগাছায় নৌকার জয়, প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জামায়াত


এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, ওই বিএসসি শিক্ষক হায়দার আলী (৬০) সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাড়ি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে আসছিল। সোমবার সকাল ৯টার দিকে ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিংয়ে পড়ানোর এক পর্যায়ে তার স্কুলের এসএসসি পরিক্ষার্থী এক ছাত্রীকে নিয়ে পাশের রুমে গিয়ে বের হচ্ছিল না। তখন ছাত্র-ছাত্রীরা উঁকি দিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে রুমটিতে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সেখানে গিয়ে শিক্ষকের ওপর চড়াও হয়।

একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য আলহাজ হাসমত আলীসহ স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে গণরোষের হাত থেকে উদ্ধার করে যার যার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।  

এরপর বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী শিক্ষক হায়দার আলীকে স্কুল হতে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে তা ওই বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হাজী অনিক আহমেদ ফিরোজের কাছে হাজির হয়। তখন তিনি পদক্ষেপ নেবার আশ্বাস দিলে মিছিলকারীরা ফিরে আসে।  

হাজী অনিক আহমেদ ফিরোজ জানান, ঘটনাটি আসলেই নিন্দনীয়। আমরাও ঘটনা জেনে হতাশ হয়েছি। এ ঘটনার অভিযোগ পেলে শিক্ষক হায়দার আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

এদিকে, হায়দার আলী এর আগেও এরকম কয়েকটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে। সে ছাত্রীদের সঙ্গে নানা ছলনায় অনৈতিক সম্পর্ক করে ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার এ ঘটনার পর পুলিশ সেখানে তদন্তে নেমেছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক হায়দার আলীর ব্যবহৃত মোবাইলে বার-বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এনায়েতপুর থানার এসআই আব্দুল লতিফ জানান, এলাকাবাসী যে অভিযোগ করছে তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

news24bd.tv তৌহিদ