শিক্ষক রাজনীতির নোংরামীর চরম শিকার আমি

শিক্ষক রাজনীতির নোংরামীর চরম শিকার আমি

Other

গত ৪ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের চাপে ও তদন্তাধীন বিষয় বলে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলাম। তার সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা দিনের পর দিন প্রপাগাণ্ডা চালিয়েছে আমার বিরুদ্ধে। অবশ্যই আদালতে যাব।

যে লেখাটি আমি লিখিনি, জমা দেইনি, ( আইডিয়া দেয়া আর গবেষণা এক বিষয় নয়) ডীন অফিসে আমার কাছ থেকে লেখার কোনো হার্ড বা সফট কপি জমা দেবার কোনো প্রমান তদন্ত কমিটি, ট্রাইব্যুনাল পর্যন্ত পায়নি, রিভিউয়ারের কপিও আমার কাছে আসেনি।

মারজান তদন্ত কমিটির কাছে যেখানে স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছে যে, সে জমা দিয়েছে, রিভিউয়ারের কপিও সেই নিয়েছিল এবং এটি তার অনভিজ্ঞতাবশত ও অনিচ্ছাকৃত ভুল, অথচ তদন্ত কমিটি বলছে দালিলিক প্রমান নাকি অষ্পষ্ট কে জমা দিয়েছে।

মারজান নিজে তদন্ত কমিটির কাছে জমা দেয়া ও রিভিউ করার কথা বলার পরও কেন দালিলিক প্রমান অষ্পষ্ট বলে তদন্ত কমিটি? এ সংক্রান্ত প্রমানস্বরূপ মারজানকে দেয়া আমার মেইল পর্যন্ত তদন্ত কমিটির কাছে জমা দেয়া হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো জার্নালে নিবন্ধ জমা দেবার সময় লেখকের সাক্ষর প্রয়োজন হয়। ডীন অফিসে লেখা জমা দেবার পর, সেটি সম্পাদনা পরিষদ যাচাই বাছাই করেন, তারপর রিভিউয়ারে কাছে যায়, রিভিউয়ার সেটি বাতিল বা গ্রহণ করলে বা সংশোধনের সুপারিশ করলে সেটি আবার সম্পাদনা পরিষদ বরাবর লেখকের কাছে যায়।

লেখকের সংশোধনের পর সেটি আবার সম্পাদনা পরিষদ যাচাই বাছাই করে ছাপার যোগ্য মনে করলে লেখাটি প্রকাশ করেন।

এই লেখাটি প্রকাশনার জন্য এডিটোরিয়াল বোর্ডে দাখিল থেকে প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত কোনো ধাপেই আমার কোনোরকম দালিলিক প্রমান তারা দেখাতে পারেনি।

ট্রাইব্যুনাল পর্যন্ত বলছে ন্যায় বিচার হয়নি। অথচ প্রতিহিংসা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতির নোংরামীর চরম শিকার হলাম আমি।

২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ডীন ড. ফরিদউদ্দীন প্রথমবার আমাকে লেখাটি প্রকাশ হবার কথা এবং আমার বিভাগের দুজন শিক্ষকের আমার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার কথা জানালে আমি নিজে ডীন অফিসে যেয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি লেখাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানাই ডীন বরাবর তারই সাক্ষরযুক্ত চিঠিতে। যেটির কপিও তদন্ত কমিটির কাছে জমা দেয়া হয়েছিল।

সিন্ডিকেটে বিষয়টি তোলার জন্য তৎকালীন ভিসি ড. আরেফিন স্যার তাকে বারবার বলেন, আমি নিজেও ড, ফরিদউদ্দীনকে বারবার সিন্ডিকেটে বিষয়টি তোলার অনুরোধ করলেও তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখেন সাত মাস।

ড. আরেফিন স্যারকে ভিসির পদ থেকে সরানোর দুদিনের মাথায় আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, এবার তিনি বিষয়টি সিণ্ডিকেটে তুলবেন। এই প্রশাসন আমাকে ড. আরেফিন স্যারের অনুসারী মনে করে। আর ড. আরেফিন স্যার নাকি তাকে ১০ মিনিটের মাথায় ডীন পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন, মারজান তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। এসব কিছুর প্রতিশোধ হবে এটি।

কেন তিনি সাত মাস বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখলেন, আমি লেখাটি প্রত্যাহারের আবেদন করার পরও? কেন একটি অফলাইন জার্নাল শিকাগো ইউনিভার্সিটির কথিত অ্যালেক্স মার্টিনের কাছে চলে যায়? যার সম্পর্কে কোনো খোঁজ খবর এমনকী কেউ তদন্ত কমিটিরও কেউ দেয়নি।

ট্রাইব্যুনাল নিজেই স্বীকার করেছে বিষয়টি। কেন ট্রাইব্যুনাল আর সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ভিন্ন হয়? কেন ট্রাইব্যুনালের আহবায়ক নিজে গনমাধ্যমকে বলেন ন্যায় বিচার হয়নি। প্লেজারিজম হয়নি। কেন আমাকে না দেখিয়ে আমার নামে লেখা আরেকজনের বরাবর ডীন অফিস প্রকাশ করে দেয়? কেন রিভিউয়ার ও এডিটরের শাস্তির সুপারিশ হবার পরও বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়? এগুলো আমার কথা নয়। ট্রাইব্যুনালে আহবায়কের কথা। তাদের এমনকী তদন্ত কমিটিতেও একবারের জন্যও ডাকা হয়না?


মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধীদের ২০ বছর কারাদণ্ডের হুঁশিয়ারি

প্রেমিক হতে হলে বিশ্বস্ত হতে হবে: প্রভা

মরুভূমিতে পথ হারিয়ে একই পরিবারের ৮ সদস্যের মৃত্যু

জরুরি ব্যবহারে অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা


তার মানে সোশ্যাল সাইন্স ফ্যাকাল্টিতে যে কেউ, যে কারো নামে গাধার রচনা লিখে জমা দিলে সেটাও ছাপা হয়ে যায়?

বর্তমান ডীন সাদেকা হালিম বারবার বিভিন্ন মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যা খুশি বলছেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে। প্রশাসনিক চাপে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। সেই সুযোগই তারা নিয়েছেন।

তদন্ত কমিটির সদস্য পরিবর্তনের অধিকার আমার ছিল এবং সেই অধিকার স্বরূপ তদন্ত কমিটির সদস্য পরিবর্তনের চিঠি সেই ২০১৯ সালে বর্তমান ভিসি বরাবরে জমা দিলে, সেটিকে বর্তমান ভিসি গ্রহনই করলেন না আমার সামনেই।

যদিও দালিলিক প্রমান আমার আছে। বর্তমান ডীন সাদেকা হালিম ৪ বছর ধরে তদন্ত ঝুলিয়ে রেখে নানারকম হুমকি ধমকির মধ্যে রেখেছিলেন। তদন্ত শেষ না করেই প্রথম দিন থেকেই আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে মিডিয়াতে বক্তব্য দিলেন বারবার।

আদালতে অবশ্যই যাব। আদালত নিশ্চয়ই দালিলিক প্রমাণ দেখবে। শিক্ষক রাজনীতির প্রতিহিংসা আর নোংরামী দেখবে না।

এ পর্যন্ত অন্তত তিন বার রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে সিণ্ডিকেট সিদ্ধান্ত, ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত, তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত চেয়েছি আদালতে যাবার জন্য, এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কিছুই দিচ্ছে না। জবাবও দিচ্ছে না।

হায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি। নোংরামী আর প্রতিহিংসা আর ক্ষমতা দখল ছাড়া আর কিছুই নেই।

(ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত)

news24bd.tv / নকিব