সিলেটে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার মেয়র-কাউন্সিলর

সিলেটে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার মেয়র-কাউন্সিলর

অনলাইন ডেস্ক

সিলেটে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে কাউন্সিলরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ঘটনার সময় ১৯টি গাড়িতে ঢিল ছুড়ে ভাঙচুর করা হয়।

পুলিশ ১৬টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনাস্থল থেকে পরিবহনশ্রমিকদের পক্ষের বন্দুকধারী এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, সিলেটে চৌহাট্টা-আম্বরখানা সড়কের সংস্কারকাজ চলছে। এই সড়কের চৌহাট্টা-দরগাহ এলাকার ফুটপাত ও সড়কের অনেকাংশ দখল করে অনেক দিন ধরেই অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের শ্রমিকেরা।

প্রতিদিন এখানে শতাধিক গাড়ি পার্কিং করা থাকে। চার দিন আগে এই অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের একদল কর্মী।

আরও পড়ুন:


মায়ের সঙ্গে পরকীয়া, মেয়ের সঙ্গে ‌‘শারীরিক সম্পর্ক’ খুনের কারণ

পরকীয়া প্রেমিককে ৫ টুকরো করার পর বাঁচতে স্বামীকে ফোন দেন পারভীন (ভিডিও)

যে কারণে ইসলাম ছেড়ে ইহুদি ধর্মে কুয়েতের নারী কণ্ঠশিল্পী (ভিডিও)

প্রেমিকের ৫ খণ্ড মরদেহের পাশে বসে ছিলেন প্রেমিকা শাহনাজ

সূরা তাওবায় কেন ‘বিসমিল্লাহ’ নেই, কি বিষয়ে সূরাটি নাযিল


সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এই অভিযানে বাধা দেন পরিবহনশ্রমিকেরা। পরে তাঁদের তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে এই সময়ের মধ্যে ফুটপাত ও সড়ক ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র।

সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর সূত্র জানায়, আজ সকালে চৌহাট্টা এলাকায় সড়কের উন্নয়নকাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন পরিবহনশ্রমিকেরা। এ খবর পেয়ে বেলা একটার দিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে উন্নয়নকাজ পরিদর্শনে যান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

তিনি দেখতে পান, পরিবহনশ্রমিকেরা সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গাড়ি পার্কিং করে রেখেছেন। মেয়রসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করতে চাইলে তাঁরা বাধা দেন।

এ নিয়ে কথাবার্তার একপর্যায়ে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালান পরিবহনশ্রমিকেরা।

প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, পরিবহনশ্রমিকদের হামলা ঠেকাতে সেখানে কর্মরত সিটি করপোরেশনের একদল কর্মী পাল্টা হামলা চালান। এ সময় স্ট্যান্ডে রাখা ১০টি মাইক্রোবাস, সাতটি প্রাইভেট কারসহ ১৯টি গাড়ি ঢিল ছুড়ে ভাঙচুর করা হয়।

পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে পুলিশের ওপরও হামলা চালান শ্রমিকেরা। চৌহাট্টা-আম্বরখানা, চৌহাট্টা-রিকাবীবাজার, চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা-মিরবক্সটুলা সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনে এলোপাতাড়িভাবে ঢিল ছোড়া হয়। কেন্দ্রস্থলের পুরো এলাকায় তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল আলিম শাহ বলেন, মেয়র, কাউন্সিলর ও ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে আলাপ করতে এসে পরিবহনশ্রমিকেরা অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় একটি একনালা বন্দুক নিয়ে পরিবহনশ্রমিকদের পক্ষের একজন মেয়রের দিকে তেড়ে আসেন।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, আমরা সেখানে গিয়েছিলাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। কিন্তু পরিবহনশ্রমিকদের বেপরোয়া আচরণ আমাদের অবাক করেছে। মেয়র-কাউন্সিলর-ম্যাজিস্ট্রেট দেখেও তাঁরা পাথর দিয়ে ঢিল ছোড়ে।

ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ফয়সল আহমদ ওরফে ফাহাদ (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ।

তিনি বলেন, পুলিশ আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত উপকমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের পর আবার স্ট্যান্ডটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। এ অবস্থায় ওই স্থান কোনোভাবেই দখলমুক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না।

news24bd.tv তৌহিদ