পাঁচ জেএমবি সদস্যকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

পাঁচ জেএমবি সদস্যকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

Other

জামালপুরে পাঁচ জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্যকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে জামালপুর বিশেষ আদালত। বুধবার দুপুরে জামালপুর বিশেষ আদালতের বিচারক স্পেশাল জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির এই দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলনে- ময়মনহিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে কারী সাইদুর রহমান (৪০), চন্ডিমন্ডপ গ্রামের নবাব আলীর ছেলে আক্কাস আলী (৩৮), জামালপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের ফয়েজ আলীর ছেলে সাইদুল মিয়া (৪৮), দখলপুর গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে মো. রুকনুজ্জামান (৩১) ও বন্দ চিথলিয়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫০)।
   
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ খাজা আলম জানান, ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামালপুর সদর উপজেলার বন্ধ চিথলিয়া গ্রামের আজিজুল হকের বসত ঘরে অভিযান পরিচালনা করে ময়মনসিংহ র‌্যাব-৯।

এ সময় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে লোহার পাইপের শর্ট পিস, কাঁচের বোতল, আনুয়ঙ্গিক বিস্ফোরক দ্রব্য ও জিহাদী বইসহ জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য কারী সাইদুর রহমান ও আক্কাস আলীকে আটক করা হয়। পরে তাদের তথ্যমতে একই অভিযোগে সাইদুল মিয়া, মো. রুকনুজ্জামান ও আজিজুল হককে আটক করা হয়।

আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত আসামিদের জেলা হাজতে প্রেরণ করেন।

২০০৯ সালের ২৭ আগষ্ট অভিযোগপত্র দাখিলের পর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে মো. রুকনুজ্জামান জামিন নিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে।  

আরও পড়ুন:


মায়ের সঙ্গে পরকীয়া, মেয়ের সঙ্গে ‌‘শারীরিক সম্পর্ক’ খুনের কারণ

পরকীয়া প্রেমিককে ৫ টুকরো করার পর বাঁচতে স্বামীকে ফোন দেন পারভীন (ভিডিও)

যে কারণে ইসলাম ছেড়ে ইহুদি ধর্মে কুয়েতের নারী কণ্ঠশিল্পী (ভিডিও)

প্রেমিকের ৫ খণ্ড মরদেহের পাশে বসে ছিলেন প্রেমিকা শাহনাজ

সূরা তাওবায় কেন ‘বিসমিল্লাহ’ নেই, কি বিষয়ে সূরাটি নাযিল


এরপর ২০১৩ সালের ৩ মার্চ মামলটি নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষের ভিত্তিতে দীর্ঘ বিচারের পর প্রত্যেককেই সন্ত্রাস বিরোধী আধ্যাদেশ ২০০৮ এর ৮ ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, ৯(৩) উপধারায় ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ ধারা অনুযায়ী ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন জামালপুর বিশেষ আদালত। পলাতক আসামি ব্যাতীত অপর চার আসামির উপস্থিতেই এই রায় দেয়া হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ খাজা আলম এবং আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জাবেদ আলী, শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।  

news24bd.tv / কামরুল