প্রেমিক-প্রেমিকার শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় গণধর্ষণ

প্রেমিক-প্রেমিকার শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় গণধর্ষণ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দিনাজপুরের বীরগঞ্জের এক স্কুলছাত্রী প্রেমিকের সঙ্গে শালবাগানে ঘুরতে এসে গণধর্ষণের শিকারের ঘটনায় পাঁচ ধর্ষককে আটক করে রোববার কোর্টে চালান দিয়েছে পুলিশ।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হলেন, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ডাঙ্গাপাড়া (বগুড়াপাড়া) গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে প্রেমিক মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫), দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা শহরের মাকড়াই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল মজিদ (৩৫), হাটখোলা হঠাৎপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে সুমন (২২), জগদলহাট পুকুর গ্রামের সালামের ছেলে সুলতান অরফে সাদ্দাম (২৩) ও মাকড়াই দক্ষিণপাড়া গ্রামের জগদীশ হেমরমের ছেলে রুবেল হেমরম (২২)।

জানা যায়, বীরগঞ্জের অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী (১৫) গত শনিবার বিকেলে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচিত তিন সন্তানের জনক পল্লী চিকিৎসক প্রেমিক মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে পৌর শহরের শালবাগানে বেড়াতে আসে।

রফিকুল ইসলাম ওই কিশোরীর সঙ্গে গাছের আড়ালে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। যা আব্দুল মজিদ, সুমন, সুলতান অরফে সাদ্দাম ও রুবেল হেমরম দেখে। এ সুযোগ নিয়ে তারা ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে ধর্ষকেরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও রফিকুল ইসলামকে আটক করে শালবাগানের পার্শ্ববর্তী বাড়ি স্থানীয় সুজালপুর ইউপি সদস্য ভবেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সুজালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহেশ চন্দ্র রায় থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ তাদেরকে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আব্দুল মজিদ, সুমন, রুবেল হেমরম ও সাদ্দামকে আটক করে।

এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রাতেই বীরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

অফিসার্স ইনচার্জ আবু আক্কাছ আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর