ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, দুই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, দুই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

Other

মাদারীপুরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ার ঘটনায় মামলা করেছেন ওই ভুক্তভোগী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে মামলটি করে সুজন শেখ। সুজন শেখ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাড়ইভাংগা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।  

মামলার আসামিরা হলেন, দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ এবং শিবচরের সূর্য্যনগর এলাকার টুম্পা টেলিকম এ্যান্ড মোবাইল কর্নারের প্রোপাইটর টোকান বেপারি।

মামলার এজাহারের বলা হয়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩টার দিকে পদ্মাসেতু ভ্রমণ করে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী সুজন। মাঝপথে মাদারীপুরের শিবচরের সূর্য্যনগর এলাকায় আসলে সুজনের মোটরসাইকেল থামিয়ে সাদা পোশাকে থাকা দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ কাগজপত্র দেখতে চান। সুজন কাগজপত্র দেখালে তা সঠিক নয় উল্লেখ করে ওই দুই পুলিশ সদস্য এটি চোরাই মোটরসাইকেল বলে দাবি করে।

আরও পড়ুন:


প্রেমিকার মাকে নিয়ে পালিয়েছে মেয়ের প্রেমিক

আলজাজিরায় তথ্যচিত্র প্রচারের দায়ে সামিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে

এবার নিবন্ধনের আওতায় আসছে অটোরিকশা-ইজিবাইক


পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই দুই পুলিশ সদস্য।

সুজন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুজনকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখায় মাহাবুব ও সোহাগ। পরে সুজনের সাথে থাকা মোবাইল থেকে পাশের টোকান বেপারীর দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ম্যাসেজের মাধ্যমে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা তুলে নেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। পরে এ ঘটনা কাউকে যেন না বলে সুজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।  

এ ঘটনায় ওইদিনই শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ কোন পরামর্শ না দিয়ে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে সুজন শেখ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে মামলটি করেন। মামলাটির শুনানী শেষে বিচারক তারিখের জন্য দিনধার্য রেখেছেন।

মামলার বাদী সুজন শেখ জানান, কোন কারণ ছাড়াই মোবাইল থেকে বিকাসের মাধ্যমে নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। যার প্রমান আদালতে মামলার নথিতে দেয়া হয়েছে। মূলত তারা ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এই টাকা নিয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আব্দুল হান্নান জানান, ব্যক্তিগত কোন দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ নিবে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, মামলার কপি হাতে পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

news24bd.tv / কামরুল