চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার করইশ গ্রামে বুধবার সন্ধ্যায় ভাবির সঙ্গে স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় গৃহবধূ সীমা আক্তার (২১) কে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরবর্তীতে তারা সীমাকে গলায় রশি দিয়ে বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করে জানান সীমা আক্তারের মা বিলকিছ আক্তার। তিনি বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, বুধবার রাতে সীমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, করইশ গ্রামের ইলিয়য়াস মিয়ার ছেলে নাছির উদ্দিনের সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় সীমার। সম্প্রতি নাছির তার বড় ভাই শেখ ফরিদের স্ত্রী খালেদা বেগমের (৩০) সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় নাছির উদ্দিন সীমাকে নির্যাতন করে আসছিল।
আরও পড়ুন:
প্রেমিকার মাকে নিয়ে পালিয়েছে মেয়ের প্রেমিক
আলজাজিরায় তথ্যচিত্র প্রচারের দায়ে সামিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে
এবার নিবন্ধনের আওতায় আসছে অটোরিকশা-ইজিবাইক
এ নিয়ে এলাকায় কয়েকবার সালিস বৈঠকও বসে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভাবির সঙ্গে স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন সীমা। এ সময় সীমা প্রতিবাদ জানালে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা। পরবর্তীতে তারা সীমা আক্তারকে গলায় রশি দিয়ে নাছির উদ্দিনের বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সীমা তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, মামলার আসামি হিসেবে সীমা আক্তারের স্বামী নাছির উদ্দিন ও তার বড় ভাবি খালেদা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে সোপর্দ করার মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
news24bd.tv / কামরুল
