দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করলেন কাদের মির্জা

দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করলেন কাদের মির্জা

অনলাইন ডেস্ক

ওয়ার্কিং কমিটির সভা ডেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে বহিষ্কারের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খিজির হায়াত খান ও নুর নবী চৌধুরী।

তারা বলেছেন, কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই।

তিনি এ ধরনের কোনো সভা আহ্বান করতে পারেন না।

আরও পড়ুন:


ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে তরুণীকে বিয়ে, অতঃপর যা ঘটল

ছাত্রদল নেতার কাণ্ড, স্ত্রী-সন্তানের কথা গোপন রেখে কিশোরীর সঙ্গে ‌‘প্রেম ও ধর্ষণ’

ধর্ম পরিচয় গোপন রেখে ধর্ষণ, ভিডিও দেখিয়ে ৫ বার ধর্ষণ

স্বামীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরকীয়া, প্রেমিক ধরা

পরকীয়া প্রেমিকের হারিয়ে যাওয়া ফোনে স্বামী হত্যার রহস্য ফাঁস


তাঁর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অবৈধ দাবি করে তারা বলেন, তাঁরা তাঁদের পদেই আছেন। কাদের মির্জার সিদ্ধান্তে কারও বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীও এ কথা বলেছেন।

ব্যাপারটি জানতে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সভা ডাকেন আবদুল কাদের মির্জা। নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পরই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী। ওই সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউনুছ।

দলীয় সূত্র জানায়, সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী অনুপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে অপসারণ করে তাঁর স্থলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরীকে। ওই সভায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয় মো. ইউনুছকে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন, দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের কোনো চিঠি তিনি পাননি। তবে শুনেছেন, কাদের মির্জা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে তাঁকে এবং সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাঁর (কাদের মির্জা) নেই। কারণ, তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো পদেই নেই।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান খিজির হায়াত খান।

তিনি বলেন, তাঁরা বলেছেন, কাদের মির্জার সিদ্ধান্ত অবৈধ। তাঁরা তাঁদের পদেই আছেন। শুধু তা–ই নয়, কাদের মির্জা গত কয়েক দিনের মধ্যে পৌর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব পরিবর্তন করেছেন, সেগুলোও অবৈধ। পূর্বে যাঁরা যে যে পদে ছিলেন, তাঁরা ওই পদেই থাকবেন।

আর নুর নবী চৌধুরী বলেন, কাদের মির্জা দলের কে? তাঁকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার ক্ষমতা কে দিয়েছে? তাঁরা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের দায়িত্ব পেয়েছেন। কেউ ইচ্ছা করলেই বাদ দিতে পারবেন না। কাদের মির্জার ডাকা ওই বৈঠকে তাঁর অনুগত হাতেগোনা কিছু নেতা ছাড়া বেশির ভাগ সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তবে কাদের মির্জার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হওয়া ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাতে মুঠোফোনে বলেন, কাদের মির্জা যা করেছেন, তা বৈধ। কেউ যদি কাজ না করেন, তাহলে তাঁকে সরিয়ে জ্যেষ্ঠ যিনি তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া যায়। তিনি জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

এদিকে কাদের মির্জার এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জেলা থেকে তাঁর (কাদের মির্জা) নেওয়া সব সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেওয়া হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমোদন ব্যতীত সংগঠনের কোনো শাখার (ইউনিট, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা, জেলা ও মহানগর) কমিটি বিলুপ্ত না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।  

news24bd.tv তৌহিদ