জন্মনিরোধক পিল কতটা নিরাপদ ?

জন্মনিরোধক পিল কতটা নিরাপদ ?

অনলাইন ডেস্ক

অপরিকল্পিত যৌনসঙ্গম হয়ে যেতেই পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে আজকাল জরুরি গর্ভনিরোধক পিল খাওয়ার একটা বেশ চল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের সাহায্য নেন বেশিরভাগ নারী। গর্ভনিরোধক ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা কী কী প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে, এ বিষয়ে আমাদের অনেকেরই তেমন ধারণা নেই।

জানেন, ইমারজেন্সি পিল আপনার জন্য কতটা নিরাপদ?

ইমারজেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিলস ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। আসুন, জেনে নিই সে সম্পর্কে—

১. গর্ভনিরোধক ওষুধকে অনেকে ‘মর্নিং আফটার পিল’ও বলে থাকেন। তবে এই ওষুধ সঙ্গমের পরের দিন সকালেই খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। রাতে সঙ্গমের পরও খেতে পারেন।

যত তাড়াতাড়ি খাবেন, তত ভালো কাজ করবে গর্ভনিরোধক ওষুধ।


ম্যাচ ফিক্সিং : আইসিসির নজরদারিতে তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার

এক নজরে এবার আইপিএলে কে কোন দলে

দেশের ব্যাংকসহ ১৯ সংস্থার ডাটা চুরি হ্যাকার গ্রুফের

ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ শিরক


 

২. গর্ভনিরোধক ওষুধ গর্ভপাত করায় না, শুধু ডিম্বস্ফোটন বা ওভিউলেশনের সময় পিছিয়ে দিয়ে গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে। তাই গর্ভধারণের পর এই জাতীয় ওষুধ খেলে কোনো কাজ হবে না।

৩. গর্ভনিরোধক ওষুধ খেলে ওজন বেড়ে যাবে ভেবে অনেকেই ভয় পান। যদিও এর সঙ্গে ওজন বাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

৪. কোনো গর্ভনিরোধক ওষুধই গর্ভধারণ রোধ করার শতভাগ প্রতিশ্রুতি দেয় না। তাই কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পরও প্রেগন্যান্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৫. গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার ফলে পিরিয়ড সাইকেল অনিয়মিত হতে পারে। এ ছাড়া মাথা ঘোরা, বমির মতো সমস্যা হতে পারে।

৬. অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রুখতে গর্ভনিরোধক ওষুধই শেষ কথা নয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হলো কপার আইইউডি। এটি ১০ বছর পর্যন্ত প্রেগন্যান্সি রুখতে সক্ষম।

সবশেষ কথা হলো, অপরিকল্পিতভাবে যৌন মিলনের পর প্রথমেই গর্ভনিরোধক ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

নিউটন বলেছিলেন, প্রতিটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। কিন্তু যেকোনো ওষুধের ক্ষেত্রে ‘সমান ও বিপরীত’ কথাটার মতো সামান্য নয় ব্যাপারগুলো। বরং প্রতিটি ওষুধেরই ক্ষেত্রবিশেষে বেশ বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ‘ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ’ হলেও তাই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সুবিবেচক হতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

news24bd.tv/আলী