নিজ গ্রামে এক স্কুলছাত্রীর বিয়ে ঠেকিয়ে সাইকেল পুরস্কার পাওয়া মেয়েটি এবার নিজেই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।
মেয়েটি বর্তমানে নবম শ্রেণিতে পড়ছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকার রাশেদুল ইসলাম ওরফে রনি নামের একজনের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শাকিল আহমেদ বলেন, গতকাল দুপুরে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন। এরপর আর কোনো কিছু জানেন না।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে তৎকালীন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ‘কন্যা সাহসিকা’ নামেরএকটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সংগঠনটির মাধ্যমে মেয়েটি এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ ঠেকায়। এ জন্য ইউএনও তাকে পুরস্কার হিসেবে একটি বাইসাইকেল উপহার দেন।
মেয়েটির মা বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকতে বাল্যবিবাহ ঠেকিয়ে সে সাইকেল পুরস্কার পেয়েছিল। বিয়ে তো দেওয়াই লাগব। এ জন্য কাজির মাধ্যমে বিয়্যা দিয়্যা দিছি।
হাসকিং মিল বন্ধ হচ্ছে যে কারণে
আইপিএল বেছে নেয়া সঠিক সাকিবকে বললেন হারশা ভোগলে
নিউজিল্যান্ড সফরে টাইগারদের দল ঘোষণা
মেয়েটির বিয়ে নিবন্ধন করা কাজী মোসলেম উদ্দিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ (পুরোনো বহুরিয়া ইউনিয়ন) থেকে দেওয়া একটি জন্মসনদের ভিত্তিতে তিনি নিবন্ধন করেছেন। তিনি যে সনদটি দেখান, যা হাতে লেখা। সনদের নম্বরটি (২০০২৯৩১৬৬২৩০৩০১১৮) অনলাইনে যাচাই করলে তা পাওয়া যায়নি।
news24bd.tv নাজিম
