জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে নারী কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী

জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে নারী কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

Other

জোরপূর্বক দেহব্যবসা করে সুবিধা নিচ্ছেন এমন চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজীকে শুক্রবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১।  

এর আগে বিউটি পার্লার কর্মী দিয়ে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় বিউটি পার্লার কর্মী ওই নারী বাদী হয়ে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজীসহ দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।  

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর রোজী।

এর আগে এ ঘটনার সাথে জড়িত এজাহারভুক্ত নুরুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

র‍্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিউটি পার্লার কর্মীকে দিয়ে দেহব্যবসা করানোর ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে অভিযুক্ত ওই নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।

গত মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে বাসন থানায় দায়ের করা ওই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী (৪০) ও নগরীর গ্রেটওয়াল সিটির মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার মো. নূরুল হক (৬৫)।

এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চার মাস আগে নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী চান্দনা চৌরাস্তায় রহমান শপিংমলে তার পরিচালিত আনন্দ বিউটি পার্লারে তাকে চাকরি দেন। কিছু দিন পর ওই এলাকার গ্রেটওয়াল সিটিতে নারী কাউন্সিলরের ভাড়া বাসার ফ্ল্যাটে নিয়ে তাকে দিয়ে বিউটি পার্লারের কাজ করানো হয়। পাশাপাশি তাকে কাজের মেয়ের পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক ঘরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হতো। প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয়া হতো।


আবারো আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু'পক্ষে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭

জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ; আহত ৪০


এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময় আসামি নুরুল হকের সহযোগিতায় ওই ফ্ল্যাটে তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করানো হতো। একাধিকবার নারী কাউন্সিলরের বাসা থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তির কাজ করতে বাধ্য করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে কৌশলে পালিয়ে এসে বাসন মেট্রো থানায় মামলা করেন ওই কিশোরী।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাসন মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক।

তিনি জানান, ওই কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। গাজীপুরে কোনো স্বজন না থাকায় অভিযুক্ত নারী কাউন্সিলরের ভাড়া বাসায় থাকত। দুই বছর আগে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। নারী কাউন্সিলর তাকে জিম্মি করেই দেহব্যবসা করিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছে সে।

news24bd.tv নাজিম