আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পচে গলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে

আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পচে গলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে

Other

প্রথমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা মার খেলো, এরপর স্থানীয়দের মার খেলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুটো ঘটনাতেই প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ‌ 

বহুদিন ধরে বলে আসছি আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পচে গলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রোভিসি-প্রক্টরের দায়িত্বে যেসব লোকজন থাকে অধিকাংশ সময়ই তারা মেরুদণ্ডহীন।

ফলে তারা শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নেয়ার সাহস পায় না।  

এই তো দুদিন আগেই লিখেছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ শামসুজ্জোহা স্যারের কথা। এই দেশে তাঁর মতো শিক্ষকও ছিলেন; যিনি বলতেন আমার ছাত্রদের গুলি লাগার আগে আমার বুকে গুলি লাগবে। নিজের জীবন দিয়ে তিনি তা প্রমাণও করেছেন।

‌ অথচ আজকে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তা ব্যক্তিরা বলেন আমরা দায়িত্ব নিতে পারবো না।

না বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা আমার পেশা নয়। ‌ আমি মাঝেমধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেই। আমি প্রায়ই ভাবি, যাদের ক্লাস নিয়েছি কিংবা কোনদিন ক্লাস নেইনি, এমন কেউও যদি কোন বিপদে পড়ে আসে কী করে বলবো যে আমি তোমাদের দায়িত্ব নিতে পারব না? তাহলে আর আমি মানুষ থাকলাম কোথায়?

ভেবে দেখুন, এই দেশে শিক্ষকরা হতে পারতেন সবচেয়ে নীতিবোধ সম্পন্ন কিংবা সবচেয়ে মানবিক মানুষ। অথচ আজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেরুদন্ড বিকিয়ে দেওয়া কতগুলো জড় পদার্থ! 

ভীষণ কষ্ট লাগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চোখের সামনে আমরা ধ্বংস হয়ে যেতে দেখছি। ‌ বিশেষ করে ভিসি প্রোভিসি প্রক্টরের দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের আচরণগুলো ভয়াবহ প্রশ্নবিদ্ধ। আমি জানিনা এর প্রতিকার হবে কীভাবে?


এটিএম শামসুজ্জামানের জানাজা-দাফনের সময় ও স্থান

এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই

মেডিকেল সরঞ্জামাদি রপ্তানী খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা বাড়ছে


কিন্তু এটা জানি যদি প্রতিকার করতে না পারি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো এই দেশটাও  ধ্বংস হয়ে যাবে। কাজেই বোধসম্পন্ন শিক্ষকদের বলবো আপনারা এগিয়ে আসুন। নিজেদের বিবেক জাগ্রত করুন।

অন্যদিকে, নীতিনির্ধারকদের বলবো আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নজর দিন। আজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই দশার জন্য রাষ্ট্র বা টু এই দেশের নোংরা রাজনীতিও কম দায়ী নয়। এদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থাতে ভয়াবহ সংকট। মাথা নুইয়ে দেয়ার প্রবণতা এখান থেকেই শুরু হয়।

আর বেছে বেছে যাদেরকে ভিসি-প্রো-ভিসি- প্রক্টর বানানো হয়, তারা গোটা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করার নেতৃত্ব দেন। ফলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ভীষণ অন্ধকার।  

কাজেই চলুন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগে আমরা আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাঁচাই। আমাদের শিক্ষকদের বাঁচাই। বাঁচাই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে!

news24bd.tv/আয়শা