গিয়েছিলাম আলজাজিরা অফিসে, বলেছিলাম কথা

গিয়েছিলাম আলজাজিরা অফিসে, বলেছিলাম কথা

Other

সময়টা ২০০৬ সালের মাঝামাঝি। আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলাম। দক্ষিণ এশিয়ার সাতজন সাংবাদিক ছিলাম একসঙ্গে। টিমটা ছিল দারুণ।

আফগানিস্তানের একরাম কাজ করতেন ভয়েস অব আমেরিকায়। দারুণ আড্ডাবাজ। তাঁর চলাফেরায় বোঝা যেত না কী কঠিন সময় অতিক্রম করছে কাবুল। সব সময় হাসিখুশি থাকতেন।
ঢাকা থেকে ছিলাম আমি আর হাসনাইন খুরশিদ। কলকাতার মেয়ে মধুমিতা দত্ত তখন ‘আজকাল’ পত্রিকার চিফ রিপোর্টার। এখন কাজ করছেন আনন্দবাজার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে। নেপাল থেকে ছিলেন একজন। নামটা মনে করতে পারছি না। ভারতের আরেকজন সাংবাদিক ছিলেন রাজেশ বাদল। তিনি ‘আজতক’-এ কাজ করতেন। বড় মাপের সাংবাদিক। পাকিস্তান থেকে আসেন পশতুন টিভির হেড অব নিউজ হাসান এবং এআরওয়াইয়ের মহসিন রাজা।

ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটরস প্রোগ্রামের আওতায় এ সফর। বিষয়বস্তু ছিল ‘দি অ্যাভালিং রোল অব ব্রডকাস্ট মিডিয়া’। শুরুটা হয়েছিল স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং দিয়ে। পেন্টাগনেও আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়। মার্কিন বিচার বিভাগ, স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে কোনো কিছু বাদ ছিল না। এ সফরের আওতায় একদিন আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় ওয়াশিংটন আলজাজিরা অফিসে। বিশাল অফিস। আলজাজিরার সঙ্গে তখন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিদারুণ খারাপ সম্পর্ক। আমেরিকান সরকার ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিল আলজাজিরার ওপর। একদিন তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিসা রাইসের সামনে আলজাজিরার বুম এগিয়ে দিয়ে একটি বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছিলেন রিপোর্টার। জবাবে রাইস বললেন, অ্যাই হেইট আলজাজিরা। এমন নানামুখী কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে আলজাজিরাকে কাজ করতে হতো।

আলজাজিরা অফিসে আমাদের স্বাগত জানালেন কর্মকর্তারা। রিজ খান সিএনএন ছেড়ে মাত্র যোগ দিয়েছেন আলজাজিরায়। পরিচয় হলো তাঁর সঙ্গে। কথা বললাম বিভিন্ন বিষয়ে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতাসহ অনেক বিষয়ই ছিল। রিজ খান নিজের নামে শো করে তখন বিখ্যাত। আলজাজিরার পলিসি নিয়েও কথা হয়। আমেরিকাকে সারা দিন গালাগাল দিয়েও কী করে এ দেশে এত বড় অফিস নিয়ে বসে আছেন? কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বললেন, কাজ করতে কোনো বাধাবিপত্তি নেই। ইরাক ও আফগানিস্তানে আমেরিকার বাড়াবাড়ি তুলে ধরছি। তাদের নিষ্ঠুরতার কথা বিশ্বকে জানাচ্ছি।

পরে এ বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, আলজাজিরা অনেক অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে। অনেক কিছু নিয়ে আমেরিকান সরকার বিব্রত ও বিরক্ত। এ নিয়ে আমেরিকান সরকার আলজাজিরাকে মাঝেমধ্যে প্রতিবাদ জানানো ছাড়া কিছু বলছে না। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বলে কথা। তবে আলজাজিরার সব প্রচারণার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হয় পয়েন্ট টু পয়েন্টে। এ বিষয়ে আমাদের মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা কাজ করেন। তারা প্রতিদিনই সতর্কতার সঙ্গে সবকিছু পর্যবেক্ষণে রাখেন। আমি রিজ খানের সঙ্গেও কথা বলি। সিএনএনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার গল্প শেয়ার করেন তিনি। আমেরিকান মিডিয়ায় মুসলমানদের কাজের পরিবেশ নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন। আলজাজিরার কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, কাতারভিত্তিক চ্যানেলটির পথচলা হবে দীর্ঘমেয়াদি। আফগান ও ইরাক যুদ্ধ তাদের সামনে এনেছে চমক নিয়ে। এ চমক তারা ধরে রাখবেন।

মিডিয়ার চমক ও চ্যালেঞ্জটা সারা দুনিয়ায় দুটি আলাদা বিষয়। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। আলজাজিরার শুরুটা চমক দিয়ে। তারা চমক ধরে রাখতে অনেক কিছু করছে বিশ্বব্যাপী। এ কারণে জন্ম দিচ্ছে অনেক বিতর্কের। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারের মিডিয়ায় নানা স্তর আছে। লোকবলের অভাব নেই। দেশের সব সংস্থার মিডিয়া উইং আছে। প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে প্রেস সেক্রেটারির নেতৃত্বে মিডিয়া টিম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি শক্তিশালী মিডিয়া সেল আছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে রয়েছে অনেক দফতর-অধিদফতর। সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রীই মিডিয়া বিশেষজ্ঞ। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে দেখি মিডিয়া কীভাবে চলা উচিত তা নিয়ে নিয়মিত ফেসবুকে জ্ঞান দিতে। মিডিয়া নিয়ে জ্ঞানী মানুষ স্তরে স্তরে। এত জ্ঞানী মানুষের ভিড়ে মিডিয়া নিয়ে চিন্তার কী আছে? এর বাইরে কাতারসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব দেশেই রয়েছে বাংলাদেশের দূতাবাস। সবাই সব বোঝেন। সব জানেন। তার পরও সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো সমন্বয়ের। আর দরকার তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও অধিক শক্তিশালী করা। তাহলে অনেক কিছুর সমাধান হয়। এসব না করে কিছু লোক শুধু নিজের দেশে, নিজের লোকদের ক্ষমতা দেখাতে পারে। কোনো কিছু দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে না। বিদেশের কোনো কিছুর বাস্তবসম্মত জবাব দিতে পারে না। ঠেকাতে পারে না কোনো জটিল পরিস্থিতি। শরীর আর ক্ষমতার জোরে সবকিছু হয় না। বাস্তবতা মেনে পদক্ষেপ নিতে হয়।

আলজাজিরার ঘটনার পর দরকার ছিল সরকারের বারোমুখী বক্তব্য না রাখা। প্রতিটি অসত্যের কঠোর ভাষায় জবাব দেওয়া। প্রতিবাদ আলজাজিরার কাছে পাঠানোর পাশাপাশি দেশি মিডিয়ায় তুলে ধরা। এতে দেশবাসীর বিভ্রান্তি পূর্ণাঙ্গভাবে দূর হতো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে জবাব প্রথম দিয়েছিল এটা কিছু হলো? যুক্তির খন্ডন কোথায়? ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা রিপোর্টে আনলে কি সবকিছু সঠিক হয়ে যেত? আজব মানুষের একটা যুগ চলছে। বলার কিছু নেই। বিভ্রান্তি মানে বিভ্রান্তি। এখানে কী দিলে ভালো হতো, কী দিলে মন্দ সে বিষয় মুখ্য নয়। মুখ্য বিষয় নিউজটি বিভ্রান্তিকর হলে পয়েন্টে পয়েন্টে ধরে জবাব দিতে হয়। হালকা কথার সুযোগ নেই। আজাইরা প্যাঁচালেরও দরকার নেই। টু দ্য পয়েন্ট কথা বলুন। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতিতে আরও পড়তে হতে পারে। আরও আসতে পারে। আগে থেকে পরিকল্পনা থাকা দরকার। জ্ঞানী ভাষণ আর বাস্তবমুখী কর্মযজ্ঞ সম্পূর্ণ আলাদা। একটার সঙ্গে আরেকটা মেলালে হবে না।

সেদিন এক শুভাকাক্সক্ষী বললেন, আপনার এত কথা বলার কী দরকার? কথা বলি অসহ্যরকম কিছু দেখলে বাধ্য হয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর লন্ডনের সানডে পত্রিকায় খুনি ফারুকের লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। খুনের পক্ষে একজন খুনির লেখা প্রকাশ মিডিয়াকে কলঙ্কিত করেছে। একই সময় কলকাতার এক জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ডালিম ও তার স্ত্রী তাসনিম নিম্মির ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেগুলো সাংবাদিকতা ছিল না। খুনিদের পক্ষে সাফাই ছিল। এখন সে যুগ নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। তার পরও পারছে না কেন? সরকার ও দলের এত ম্যাকানিজমের কাজটা কী?

আসলে খোদাই খাসির মতো সবাই যার যার মতো চলছে। যার যা মনে আসছে তাই করছে। কোনো জবাবদিহি আর সমন্বয় আছে বলে মনে হয় না। সেদিন এক নেতাকে ফোন করে জানতে চাইলাম উপকমিটির সদস্যসংখ্যা কত হবে সর্বাধিক? জবাবে বললেন, কতজন হবে তা নির্দিষ্ট নেই। তবে সবকিছুর একটা মানানসই অবস্থান আছে। বললাম সে মানানসই অবস্থানটা কি সব উপকমিটি রক্ষা করছে? জবাবে সেই নেতা বললেন, এ নিয়ে কথা বলতে চাই না। বুঝতে পারছেন, অনেক কিছু নিয়ে কথা বলা যায় না। তার পরও বলতে হয়।

মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লেখালেখি হয়েছে এ দেশের পত্রপত্রিকায়। তিনি তেমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতেন না। সবকিছু সয়ে নিয়েছিলেন। এভাবে সবাই সয়ে নিতে পারেন না। সরকারের বাজেট আছে। লোকবলেরও অভাব নেই। কাজ করতে দরকার বাস্তবমুখী মেধা-মনন-চিন্তার প্রখরতা। আগে সমস্যাটা চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সমাধানের দিকে মনোনিবেশ। আজব ভাবনা থেকে যা খুশি তা করা যায় না। অন্যের ওপর দোষ চাপানো সহজ, কাজ করা কঠিন। বাংলাদেশ এখন উন্নতি-সমৃদ্ধিতে বিশ্বে নতুন একটা জায়গা করে নিয়েছে। অনেকের কাছে বাংলাদেশের উন্নতি ঈর্ষণীয় একটি অবস্থানে। এ সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবেই। দেশে হবে, বিদেশে হবে। এসব চক্রান্তের জবাব উঁহু-আহা করে দিলে চলবে না। বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যাগুলো তৈরি থাকতে হবে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একটা সমন্বয় থাকতে হবে। যে যার মতো করলে হবে না। সময়টা খারাপ। অনেক কিছুই বলতে চাই না। সুবিধাবাদীদের রাজত্বে বাস করে সত্য বলা কঠিন।

‘হু কিলড মুজিব’ এ এল খতিবের লেখা বইটি আবারও পড়ছিলাম। বইয়ের শুরুতে তিনি ১৯৭৪ ও ’৭৫ সালের কিছু চিত্র তুলে ধরেন। এ বইতে খন্দকার মোশতাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, মাহবুবুল আলম চাষী ও খুনিচক্রের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ১৫ আগস্টের আগেও তারা ছিলেন আওয়ামী লীগার। মোশতাক থাকতেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। ডালিম নিয়মিত যেতেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করে ৩২ নম্বরে যাওয়া নিয়ে একদিন শেখ রেহানা ডালিমকে প্রশ্নও করেন। সেদিন ডালিম বলেছিলেন, একদিন প্রমাণ হবে কে আপন কে পর। ইতিহাসের এটাই নিষ্ঠুর সত্য। তাহের উদ্দিন ঠাকুরের দায়িত্বে ছিল তথ্য মন্ত্রণালয়। দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় যা খুশি তা লেখা হতো। সেসব চক্রান্তের জবাব কি তাহের উদ্দিন ঠাকুর ঠিকভাবে দিয়েছিলেন? অনেক প্রশ্নের জবাব এখনো মেলে না। সে সময়ের আরেকটি বিষয়, সবার সরকারি দল হয়ে যাওয়ার বিষয়টিও খতিব তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন:


কোন ওয়াক্তের নামাজ কত রাকাআত?

রক্তে রাঙানো একুশ আজ

ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ


বাকশাল গঠনের পর সেনাবাহিনী, পুলিশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সবাই দল বেঁধে সরকারি দলে যোগ দেন। সাংবাদিক, শিক্ষকরাও বাদ ছিলেন না। সবাই সরকারি দলে। দেশে বিরোধী দল ছিল না। তবে জাসদ ও চীনপন্থি বামদের গোপন চক্রান্ত ছিল। এর বাইরে গাছের পাতাও সরকারি দল। বঙ্গবন্ধু এ উৎকণ্ঠা থেকে গভর্নরদের শক্তিশালী করার ব্যবস্থা নেন সব জেলায়। রাজনীতিটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা ছিল বঙ্গবন্ধুর মাঝে। বিষয়টি আমলারা ভালোভাবে নেননি।

ইতিহাসের এ কঠিনতম সময়ে দেশে এখন আমরা আবার সবাই আওয়ামী লীগ।   সুবিধাবাদীদের ভয়াবহ শাখা-প্রশাখার বিকাশ হয়েছে। গাছের পাতাও আওয়ামী লীগ করে। মন্ত্রী আর এমপি সাহেবরা ভাইলীগ বানিয়ে পরিবার লীগের বিকাশ ঘটিয়েছেন। ভাইলীগে যুক্ত করেছেন জামায়াত, বিএনপি। তারা ভুলে গেছেন অতীত। ২০০৯ সালের আগের কর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষায় এ দল ক্ষমতায়। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ইতিহাস তৈরি করেছে। কোনো হাইব্রিড, আগাছা-পরগাছার দরকার হয়নি। এখন ক্ষমতার তুঙ্গে থাকার সময় এত লোকের কী দরকার? আর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দলের স্থানীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হতে হবে কেন? মাঠের নেতা-কর্মীদের দলটি করতে দিন। কারও দয়া-দাক্ষিণ্যের কিছু নেই। আপনারা যারা ভাবছেন ২০১৯ সালে আপনাদের সহায়তায় এ দল ক্ষমতায়, এ যুক্তি মানতে রাজি নই।

২০১৯ সালে বিএনপির সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল। দলের চেয়ারপারসন কারাগারে। কো-চেয়ারম্যান বিদেশে। সারা দেশে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার শেষ ছিল না। গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীর বড় অংশ হয় কারাগারে, নয় পলাতক ছিলেন। অনেক প্রার্থী এলাকায় যেতে পারেননি। এর বিপরীতে শেখ হাসিনার উন্নয়ন-সাফল্যের জোয়ার ছিল। ব্যবসায়ীরা সমাবেশ করে সরকারি দলকে শতভাগ সমর্থন দিয়েছিলেন। ৯৯ শতাংশ মিডিয়া ছিল আওয়ামী লীগের পক্ষে। ২০১৪ থেকে ২০১৮-এর অনেক মন্ত্রীরও সাফল্য ছিল। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন চাঙা। মাঠ-ঘাট ছিল আওয়ামী লীগ কর্মীদের দখলে। শতভাগ নিরপেক্ষ ভোট হলে বিএনপি ৪০ থেকে ৫০টি আসন পেত। সে ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন অতি উৎসাহী কর্মকর্তারা। এ দায় তারা এড়াতে পারবেন না। এ জটিলতাও ঠান্ডা মাথায় সামাল দিচ্ছেন একজনই। তিনি শেখ হাসিনা।

সব কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দেশের সমৃৃদ্ধি ধরে রাখতে শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে চলেছেন। রাতদিন পরিশ্রম করছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা। শেষ আশ্রয়স্থল। তাই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হবে। তাঁর কাজের বিরুদ্ধে অনেক কথা আসবে। দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর থাকবে। শেখ হাসিনাকে দীর্ঘদিন থেকে জানি। তিনি অন্যায়ের কাছে কোনো দিন আপস করেননি। করবেনও না। বিশ্বাস করি তিনি সবকিছু অতিক্রম করতে পারবেন। তিনি জানেন কী করে খারাপ সময়ের সবকিছু সামাল দিতে হয়। তাই এক আলজাজিরা নিয়ে ঘুম হারামের কিছু নেই। সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে অতি উৎসাহী আমলা-কামলা-হাইব্রিড-নবাগত আর বহিরাগতদের নিয়ে। কারণ চাইলেই এখন আর কাউয়াদের বের করে দেওয়া সম্ভব নয়।   তারা কঠিন ভিত গেড়ে বসেছে। দিন দিন অবস্থান আরও শক্ত করছে।   ভয় শুধু তাদের নিয়েই।

লেখক: সিইও, নিউজ টোয়েন্টিফোর ও সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

news24bd.tv আহমেদ

এই রকম আরও টপিক