একুশে ফেব্রুয়ারির গানটি লেখার কৃতিত্ব আমার না: আব্দুল গাফফার চৌধুরী

একুশে ফেব্রুয়ারির গানটি লেখার কৃতিত্ব আমার না: আব্দুল গাফফার চৌধুরী

Other

একুশের গান, প্রভাত ফেরীর গান। আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। গানটির স্রষ্টা আব্দুল গাফফার চৌধুরী বিনয়মিশ্রিত কণ্ঠে বলেন, গানটি লেখার পেছনে তার নিজের কোন কৃতিত্ব নেই। তখনকার সময়, বাঙালীর আবেগ, অনুভূতিই তাকে গানটি লিখেয়েছে।

কালজয়ী করেছে।

গানটি লেখার অপরাধে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। প্রভাত ফেরীর এ গানকে ঘিরে আব্দুল গাফফার চৌধুরী তার স্মৃতিকথা জানান নিউজ টোয়েন্টিফোরকে।

ফাগুনের এই দিনে রক্তাক্ত হয়েছিল রাজপথ।

ভাষাসৈনিক রফিকের নিথর দেহ দেখে কবিতার লাইন লিখেছিলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

তিনি বলেন, রফিকের নিথর দেহ পড়ে আছে। মাথার খুলি নেই। মনে হচ্ছে যেন আমার ভাই পড়ে আছে। তখন হঠাৎ করেই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ এই লাইন মুখে চলে আসে। গানটি লিখতে আমার কোন কৃতিত্ব নেই। গানটা এমন সময় লিখেছিলাম নিজের অজান্তেই।

আরও পড়ুন:


করোনাতেও থেমে যায়নি জাতিসংঘসহ বিশ্বে ২১ ফ্রেব্রুয়ারির কর্মসূচি

বিশ্বব্যাপী বাড়ছে বাংলা ভাষার চর্চা

সর্বস্তরে বাংলা চালুর তাগিদ

শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল


ভাষা আন্দোলনের প্রথম প্রকাশিত লিফলেটে এটি ’একুশের গান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। আব্দুল গাফফার চৌধুরী তখন ঢাকা কলেজের ছাত্র। গানটি লেখার অপরাধে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ওই সময় গানিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর হাসান হাফিজুর রহমানের একটি সংকলনে এই কবিতাটি ছিল। ওই সংকলনটিও নুরুল আমীন সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

গানটিতে প্রথমে আব্দুল লতিফ সুর করেন। পরে তার অনুমতি নিয়ে আলতাফ মাহমুদ সুর দেন। ১৯৫৪ সালে প্রভাত ফেরিতে প্রথম আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি গাওয়া হয়। সেই সুরই এখন গানটির প্রতিষ্ঠিত সুর।

১৯৬৯ সালে জহির রায়গান তাঁর জীবন থেকে নেওয়া চলচ্চিত্রে এই গান ব্যবহার করেন। ২০১৬ সালে গানটি হিন্দি, মালয়, আরবি, ফরাসি, স্পেনীয়, সুইডিশ, রুশ, জাপানিজ, চীনা, ইতালীয়, বাংলা ও ইংরেজী মোট ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়। সিয়েরা লিয়নের ক্রিয় ভাষায়ও গানটি গাওয়া হয়।

বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকায় এটি তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।

news24bd.tv আহমেদ