কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এ ঘোষণা দেন। সোমবার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়।
শেষ হয় ৬টা ১৮ মিনিটে।বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আর মামুনের নেতৃত্বে বৈঠকে পরিষদের ১৯ সদস্যের মধ্যে কানিজ ফাতেমা, আফসানা সাফা, একরামুল হক, আল ইমরান হোসাইন, লীনা মিত্র, আরজিনা হাসান, লুবনা জাহান প্রমুখ ছিলেন।
এর আগে বিকেল পৌনে চারটার দিকে দুটি মাইক্রোবাসে তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন।
পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো:
♻ কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা
♻ কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ না দেয়া
♻ চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ না দেয়া
♻ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্কস ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা
♻ কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধায় নিয়োগ প্রদান করা
এর আগে আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, আপনারা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাবেন না, টিয়ারসেল, জলকামান ব্যবহার করবেন না। ’
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর