আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠনের প্লাটফর্মে মানবন্ধন, বাইসাইকেল র‍্যালি, সেমিনার করে সারাদেশ জুড়ে। সাহসী বীর সৈনিকরা বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমাদের ভাষাকে রক্ষা করেছেন। তাদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে ২১শে ফেব্রুয়ারি দেশগুড়ে বিভিন্ন সংগঠন এসব সভা ও র‍্যালির আয়োজন করে।   

বাংলাদেশ সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টস ফোরাম (বিএসএএফ), একটি প্রমিনেন্ট এনজিও যার মূল শিকড় রয়েছে দেশের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বিভিন্ন সময়ে স্মরণ সভা ও মিছিল করেছে জাতীয় বীর সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে।

news24bd.tv

বক্তারা সভায় বলেন, বাঙ্গালির আন্দোলন সংগ্রােরে কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এবং পাকিস্তানি শাসকদের সমালোচনা করে বলেন বাংলা ভাষাকে নিশ্চিন্ন করার জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তানি বর্বর শাসকরা এদেশের মানুষের মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। বাংলার দামাল ছেলেরা তাদের মায়ের ভাষা আগলে রেখেছে সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই।   

বিএসএএফ-এর একটি র‍্যালি গতকাল ২১শে ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ১হাজার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নিয়ে শহীদ মিনারে যায়।

র‍্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় জাদুঘর ও ঢাকা প্রেসক্লাবের সমানে দিয়ে প্রদক্ষিন করে শহীদ মিনারে যায়। র‍্যালিতে মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞ ব্যাক্তিরা অংশ নেন।  


ইউনাটেড ৭৭৭ মডেলের সব বিমান চলাচল বন্ধ

উনকে নিজের প্লেনে করে বাড়ি পৌছেঁ দিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

মিয়ানমারে নিহত তরুণীর শেষকৃত্যে হাজার হাজার মানুষ

কঙ্কালের গায়ে লেগে থাকা শার্ট দেখে লাশ সনাক্ত করলেন স্ত্রী


খুলনাতে বড় একটি মটরবাইকের র‍্যালি করে গোল্লামারি বুদ্ধজীবী শহীদ মিনারে যায়। এধরণের আরো র‍্যালি করেছে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে পটুয়াখালী, বেনাপোল এবং রাজশাহীতে।  

'ওপেল ডায়ালগ বাংলাদেশ' নামে একটি সংগঠন ৫২এর ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা নিয়ে সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করে অর্থনৈতিক বিটের রিপোর্টারদের নিয়ে ঢাকা হলে। এই সভায় মুক্তিযোদ্ধা, ভাষাসৈনিকরা আলোচনায় অংশ নেন।  

ভারত বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংস্থা একটি সাইকেল র‍্যালির আয়োজন করে। এই সংগঠনের সভাপিত তৌফিক আহমেদ তাসফির এর নেতৃত্বে প্রায় ১৩৫ জনের একটি দল র‍্যালিতে অংশ নেয়। নিকুঞ্জ থেকে র‍্যালি শুরু হয়ে পাকিস্তানের হাই কমিশনের অফিস পার হয়ে গুলশানে এসে শেষ হয়।  

র‍্যালি শেষে একটি মিটিং-এ বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি শাসকরা নিরীহ বাঙ্গালিদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চেয়েছিলো। বর্বর ওই সেনারা প্রায় ৩০ লাখ নিরীহ বাঙ্গালিকে হত্যা করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধে। এসময় অংশগ্রহণকারীরা হাতে প্লাকার্ড নিয়ে এসেছিল। প্লাকার্ডে লেখা ছিল, "পাকিস্তানিরা আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, আমরা কখনোই পাকিস্তানিদের ক্ষমা করবো না। যারা আমাদের মায়ের ভাষা চিরতরে বন্ধ করে দিতে চেয়েছে। " 

news24bd.tv/আয়শা