সৌদি নারীরা এখন থেকে ‘অস্ত্র হাতে’ নিতেও পারবে

সৌদি নারীরা এখন থেকে ‘অস্ত্র হাতে’ নিতেও পারবে

অনলাইন ডেস্ক

নারীর স্বাধীনতায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ইসলামী শরিয়ার দেশ সৌদি আরব। নারীরা এবার অস্ত্র হাতে নিতে পারবে এবং যোগ দিতে পারবে সেনাবাহিনীতে।

এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে নারীদের জন্য আরও একটি কর্মক্ষেত্র উন্মুক্ত হলো। খবর আরব নিউজ।

আরব নিউজ জানায়, সৌদি নারীরা এখন থেকে সামরিক বাহিনীর সৈনিক, ল্যান্স কর্পোরাল, কর্পোরাল, সার্জেন্ট এবং স্টাফ সার্জেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে ধারাবাহিকভাবে দেশটির নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্র উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:


বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ভাষা শহীদদের স্মরণ

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি: পেন্টাগন

একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর জনগণের কাঁধে: মির্জা ফখরুল

আত্মমর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বিশ্বের বুকে চলবো: প্রধানমন্ত্রী


শপিং মলগুলোতে ক্যাশিয়ার পদে সৌদি নারীদের বসে থাকার দৃশ্য এখন একেবারেই পরিচিত, যেটি আগে শুধু পুরুষদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। একইভাবে রেস্টুরেন্ট ও কফি শপগুলোতে কাস্টমার সার্ভিসে যুক্ত হয়েছে নারীরা।

নারীরা সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে এমন প্রথম ঘোষণা এসেছিল ২০১৯ সালে। পরিবারের পুরুষ সদস্যের অনুমতি ছাড়াই নারীরা দেশের বাইরে যেতে পারবে, এমন ঘোষণাও দেওয়া হয় সেবছর। নারীদের ওপর অভিভাবকত্ব নিয়ে এমন কড়াকড়ি তুলে নেওয়ায় ঘরে বাইরে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ।

২০১৮ সালে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় নারীদের। তার আগ পর্যন্ত সৌদি আরব ছিল একমাত্র দেশ, যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল না।

২০২০ সালে সৌদি আইন মন্ত্রণালয় ১০০ নারীকে পাবলিক নোটারি হিসেবে নিয়োগ দেয়। চলতি বছর জানুয়ারিতে ঘোষণা দেওয়া হয়, শিগগিরই আদালতে নারী বিচারকও নিয়োগ দেওয়া হবে।

news24bd.tv তৌহিদ