মানুষ ভোট দিচ্ছে না, মানতে একেবারেই রাজি না আমি: সিইসি

মানুষ ভোট দিচ্ছে না, মানতে একেবারেই রাজি না আমি: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘দেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে ৬০ শতাংশের ওপর মানুষ ভোট দিচ্ছে। মিডিয়াতেই বলা হয়, কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভীড়, নারীরা দীর্ঘ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছে। পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো থাকলেই নারীরা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়।

ফলে নির্বাচন সঠিক, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে’।

সিইসি আরো বলেন, ‘পৃথিবীর সবস্থানেই নির্বাচনে কিছু সহিংস ঘটনা ঘটে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হলে মানুষের মধ্যে সহনশীলতার অভাব দেখা দেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা দ্রুত প্রশমনও করে।

ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, মানুষ ভোট দিচ্ছে না, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না এসব কথা মানতে একেবারেই রাজি না আমি। ’

আজ দুপুর ১টার দিকে যশোরের কেশবপুরে পৌরনির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব বলেন।

তিনি বলেন, ‘২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নির্বাচন করতে চায় কমিশন। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি’।

সিইসি আরো বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আদেশের কপি আমরা হাতে না পাই। অনেক সময় টেলিভিশনে সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা প্রচার করা হয়। তখন আমরা মনে মনে প্রস্তুতি নিই, কী করতে হবে। আদেশের কপি পাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। এ জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন আদেশ পেতে সময় লাগবে। ফলে ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ এতদিন নির্বাচনের কোনো কার্যক্রম করা যায়নি। টাইম লস হয়ে গেছে। এ টাইমটা দিতে হবে প্রার্থীদের। মোটামুটি ১৪/১৫ দিন টাইম দিতে হয় প্রার্থীদের। এটা আমরা পাইনি। ’


স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ২৮ ফেব্রুয়ারির পর: শিক্ষামন্ত্রী

আগামী ২৪ মে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে

মৃত্যুর পর সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেল সুশান্ত

স্নাতক পাসে ইস্টার্ন ব্যাংকে নিয়োগ


তিনি বলেন, ‘মার্চে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কারণ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হবে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনটি সম্পন্ন করা যেতে পারে। তারপরও বলবো যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। ’

এর আগে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তবে এই বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ছিল না।

news24bd.tv নাজিম