চীন উইঘুরদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে:  কানাডার পার্লামেন্ট

চীন উইঘুরদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে: কানাডার পার্লামেন্ট

অনলাইন ডেস্ক

চীনে উইঘুর মুসলমানদের উপর চীন সরকারের নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হাউজ অব কমন্সে প্রস্তাব তুলেছিলো কানাডার কনজারভেটিভ পার্টি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।  

news24bd.tv

হাউজ অব কমন্সে ভোটাভুটিতে সর্বসম্মতি ক্রমেই প্রস্তাবটি পাশ হয়। প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা ভোট দানে বিরত থাকলেও লিবারেল পার্টির প্রায় সব এমপিই ভোটে অংশ নেন এবং কনজারভেটিভ পার্টির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন।

ভোটের হিসেবে ২৬৬ টি ভোট পরে প্রস্তাবের পক্ষে, বিপক্ষে একটি ভোটও পরেনি।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমেই কানাডা যুক্তরাষ্ট্রে পরেই চীন উইঘুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালায় সে ব্যাপারে অফিসিয়াল মতামত দিল।  

আইনজীবীরা একটি সংশোধনী পাশের পক্ষে ভোট দিয়ে বলেছেন চীন যদি উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর গণহত্যা বন্ধ না করে তবে ২০২২ সালে বেইজিংয়ের বিশ্ব অলিম্পিক সরিয়ে নিতে।  


আচরণগত অর্থনীতি: উভয়সঙ্কটের নৈতিক সমস্যা

ঢাকার সাত কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

ভারত থেকে এলো আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা

৬ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক


তবে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এখনও পর্যন্ত জিনজিয়াংয়ের উইঘুর সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীনের পদক্ষেপকে গণহত্যা হিসাবে চিহ্নিত করতে দ্বিধা বোধ করেছেন এবং এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আরও পরীক্ষা করা দরকার বলেছেন।

  

তার মন্ত্রিসভার মাত্র একজন সদস্য, বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী মার্ক গার্নো ভোটের জন্য সংসদে উপস্থিত হয়েছিলেন। হাউস অফ কমন্সে বক্তব্য রেখে মি. গার্নো বলেছেন যে তিনি "কানাডা সরকারের পক্ষে" বর্জন করেছেন।

ভোটের আগে বক্তব্য রেখে বিরোধী দলীয় নেতা এরিন ও'টুল বলেছিলেন যে "একটি সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন সংকেত প্রেরণ করা জরুরি ছিল যে আমরা কিছুটা অর্থনৈতিক সুযোগ ত্যাগ করে হলেও মানবাধিকার এবং মানবাধিকারের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়াব"।

এই মাসের শুরুর দিকে ট্রুডোর কাছে প্রকাশিত চিঠিতে তাকে "চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে" বলে বিরোধী নেতা ও'টুল চীন থেকে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেছিলেন। একটি সিদ্ধান্ত যা নিয়মবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও নির্যাতনের অভিযোগে বিবিসির এক প্রতিবেদনের পরে এসেছিল যে জিনজিয়াংয়ে চীনের "পুনঃশিক্ষা" শিবিরগুলিতে।

news24bd.tv

সপ্তাহের শেষ দিনে কানাডাতে অবস্থান করা চীনের রাষ্ট্রদূত কং পিউ বলেনে, কানাডার এই উদ্যেগ চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো হচ্ছে।  

তিনি আরো বলেন, ”আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। চীনের জিনজিয়াংয়ে তেমন কিছুই ঘটছে না। ” 

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন যে, চীনে লাখ লাখ উইঘুরদের আটক করা হচ্ছে যেটা বাইরের কেউ জানতে পারছে না। চীনের পুনঃশিক্ষা কার্যক্রম আসলে কি সেটা পরিস্কার নয় কারো কাছে।  

বিবিসির অনুসন্ধানকারী দল বলছে উইঘুরদের জোর করে কাজ করানো হচ্ছে। তবে কানার এই প্রস্তাবে বলা হয়নি পরবর্তীে পদক্ষেপ কি হবে। তবে বলা হয়েছে কানাডা তাদের পাশ্ববর্তী দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়ে অনুসরন করবে।  

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থোনি ব্লিনকিন এবং মাইক পম্পেও চীনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এ বিষয়ে। তাদের উভয়ের মত চীনের পশ্চিম জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের উপর সাংবিধানিক গণহত্যা চলছে।   

সূত্র: বিবিসি

news24bd.tv আয়শা