কারিশমা কাপুর, নব্বইয়ের দশকে রুপালি পর্দা কাঁপানো নায়িকা তিনি। কাপুর পরিবারের সদস্য হিসেবে তিনি অভিনেতা রণধীর কাপুর এবং ববিতার প্রথম কন্যা।
কাপুর পরিবারে বৌ এবং মেয়েদের অভিনয় জগতে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু মা ববিতার হাত ধরে সেই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন কারিশমা।
অভিনয় দিয়ে তিনি নিজেকে প্রমাণও করেন। তিনি ১৯৯১ সালে, সতের বছর বয়সে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটান ভারত ভূষণের বিপরীতে প্রেম কয়েদি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।
পরবর্তীকালে তিনি বিভিন্ন বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, এর মধ্যে রয়েছে, জিগর (১৯৯২), আনাড়ি (১৯৯৩), রাজা বাবু (১৯৯৪), সুহাগ (১৯৯৪), কুলি ন. ১, গোপী কিষাণ (১৯৯৪), সাজান চালে শাশুড়াল (১৯৯৬) এবং জীত (১৯৯৬)।
১৯৯৬ সালে, কাপুর তার সর্বাধিক বাণিজ্যিক সাফল্য রাজা হিন্দুস্তানী চলচ্চিত্রের জন্যে প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন, এবং পরবর্তীতে দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭) রোমান্টিক নাট্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
সোজা বাংলায় এই তারকা-কন্যা চূড়ান্ত সফল হন পেশাগত জীবনে। সাফল্যের একেবারে শীর্ষে থাকার সময়ই তিনি ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে ২০০৩ সালে বিয়ে করেন।
তার পর সংসার নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে নেন। পরে নতুন করে অভিনয় জগতে ফিরতে চাইলেও দর্শক তাঁকে আর আগের মতো পছন্দ করেননি।
মূলত কোনও ছবিই তাঁর হাতে এখন নেই। অন্য দিকে ২০১৬ সালে স্বামী সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গেও তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পর থেকে ২ সন্তানকে একাই বড় করে তুলছেন কারিশমা।
তারকাদের মানানসই পোশাক, খাবার, ছেলে মেয়েদের স্কুল এবং টিউশন খরচ-কোনও কিছুর সঙ্গেই আপস করতে হয়নি তাঁকে। আগের মতোই বিলাসিতাকে সঙ্গী করে জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।
বিলাসবহুল জীবন কাটানোর জন্য বড় অঙ্কের উপার্জনের প্রয়োজন। অথচ খরচ বহন করার জন্য কোনও ছবিই তাঁর হাতে নেই। তাহলে কী ভাবে এই বিশাল খরচের ভার কারিশমা বহন করছেন?
এমনিতেই কাপুর পরিবারের বৈভব নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। মা ববিতা এবং বাবা রণধীর কাপুরের যথেষ্ট সম্পত্তি রয়েছে। যা কারিশমা এবং কারিনা, ২ বোনের মধ্যেই ভাগ হবে পরবর্তীকালে।
তার উপর ২০১৬ সালে স্বামী সঞ্জয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ভরনপোষণের মামলা করেছিলেন কারিশমা। ২ ছেলেমেয়ের জন্য সঞ্জয়কে আলাদা করে ১৪ কোটি টাকা দিতে হয়েছিল।
এ ছাড়া কারিশমার থাকা-খাওয়ার খরচ হিসাবে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা করে সঞ্জয়কে দিতে হয়।
এ ছাড়া কারিশমা নিজেকে সব সময় কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখেন। কারিশমা অভিনয় জগতে সক্রিয় না থাকলেও বোন করিনার থেকেও তাঁর ব্যস্ততা অনেক বেশি। একটি শো-য়ে করিনা নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন।
কারিশমা আসলে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। সেই সমস্ত সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারের মুখ কারিশমাই। সেখান থেকেও বড় অঙ্কের টাকা প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে চলে আসে তাঁর।
ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেছে টাইগাররা
স্পেনে ঢুকতে অভিবাসীর অভিনব পন্থা
গোয়েন্দাদের ব্যর্থতাতেই ক্যাপিটলে হামলা
মিয়ানমারের ১০৮৬ নাগরিককে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
এছাড়া জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিভিন্ন ডিজাইনারের হয়ে র্যাম্প ওয়াক করেন তিনি। এই কাজেও বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক নেন।
কারিশমার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, এ সব করে প্রতি বছর অন্তত ৭২ কোটি টাকা উপার্জন করেন তিনি।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই মুম্বাইয়ে থাকেন কারিশমা। বোন কারিনার পোতৌদি বাড়ির কাছেই একটি বাড়িতে ২ সন্তানকে নিয়ে থাকেন তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
news24bd.tv নাজিম