বাংলার ছেলে কাতার প্রবাসী জালালের সফলতা

বাংলার ছেলে কাতার প্রবাসী জালালের সফলতা

অনলাইন ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ সম্ভাবনাময় দেশ কাতারে অনেক সংখ্যক বাংলাদেশি আছেন। কেউ ব্যবসা আবার কেউ চাকরি করছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।

দেশটিতে বর্তমানে কর্মরত আছেন চার লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি। এদের অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে সুনামের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।

কাতারে বসবাসরত রেসিডেন্সধারী বাংলাদেশি প্রবাসী জালাল আহমেদ সিআইপি, তিনি দীর্ঘদিন কাতারে সুনামের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তিনি কাতার থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স প্রেরণ করে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সিআইপিও নির্বাচিত হয়েছেন।  

বাংলাদেশের চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার এ কৃতী সন্তান কাতারে স্থায়ী বসবাসের একমাত্র রেসিডেন্সি পাওয়া বাংলাদেশি ব্যক্তি, কাতার সরকার একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে জালাল আহমেদকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে দেশটিতে।

কাতার প্রবাসী মোহাম্মদ জালাল আহমেদ সিআইপি, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পৌর এলাকার মিয়াজি বাড়ীর হাজী আব্দুর রশিদ মিয়াজির বড় ছেলে, তিনি কাতারে গোল্ডেন মার্বেল কোম্পানির কর্ণধার।

জালাল আহমেদ ২ ভাই ৫ বোনের মধ্যে প্রথম তিনি, তার এক বোন মাজেদা বেগম বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। জালাল আহমেদ তিন মেয়ে আর এক পুত্রের জনক বর্তমানে সবাই সপরিবারে কাতারে থাকেন।

কঠোর পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে কাতারে গড়ে তুলছেন গোল্ডেন মার্বেল কোম্পানি, গোল্ডেন মার্বেল কোম্পানি কাতারে মধ্যেই এক নাম্বার কোম্পানি।

নিজ জন্মস্থান চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার মানুষকেও কাতারে এনে স্বাবলম্বী করেছেন। পরিবারের অনেক সদস্য বর্তমানে কাতারে রয়েছেন তার।  

প্রায় ৩২ বছরের কাতারের প্রবাস জীবনে সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত এ ব্যবসায়ী সফলভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। কাতারে তার মালিকানাধীন চারটি মার্বেল পাথরের কারখানা রয়েছে, এছাড়া বাংলাদেশের খুলনার মোংলায় তার একটি মার্বেল ফ্যাক্টরি রয়েছে।

আরও পড়ুন:


দলের শৃঙ্খলা কেউ নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: কাদের

লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৮ বাংলাদেশি, সঙ্গে ৭ মরদেহ

ঠাকুরগাঁওয়ে আবারও বিরল প্রজাতির নীলগাই উদ্ধার

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক


জালাল আহমেদ বলেন, কাতারে বাংলাদেশিদের ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য বেশি করে পরিশ্রম করতে হবে, এখানে অর্থ অপচয়ের প্রচুর জায়গা রয়েছে, এসব জায়গায় থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে, কাজকেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা এখানে কাজ করতে এসেছি আর কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে এসেছি।  

এই সফল প্রবাসী আরও বলেন, কাতারে বাংলাদেশিদের ছোট ছোট অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছেন। আমার কাছে যারা আসে আমি সবাইকে সবসময় উৎসাহ দেই। বলি আরো বড় হতে হবে, কাতারে প্রচুর কাজ রয়েছে, কাজের জন্য সবসময় চেষ্টায় থাকতে হবে নিজের ভিতর।

news24bd.tv আহমেদ