মিয়ানমারের আর্থিক সংকট নিয়ে নতুন গুজব, আতঙ্কিত গ্রাহকেরা

মিয়ানমারের আর্থিক সংকট নিয়ে নতুন গুজব, আতঙ্কিত গ্রাহকেরা

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারে ব্যাংক থেকে প্রতিদিন নগদ উত্তোলনের নতুন সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাংকগুলোয় অর্থের ঘাটতি তৈরি হয়েছে—এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে, বুথে বুথে ভিড় করছেন গ্রাহকেরা।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী এই ব্যাংকের প্রতিটি শাখা থেকে প্রতিদিন মাত্র ২০০ জন গ্রাহক অর্থ তুলতে পারবেন। অর্থ তোলার সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে গ্রাহকপ্রতি ৩৭০ ডলার।

তুন নাইং বলেন, কিছু লোক ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানোর জন্য রাত থেকে বসে থাকেন। অনেকে ব্যাংকের পাশের হোটেলে উঠেছেন।

গত দুই সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন শহরে যে বিক্ষোভ ও আইন অমান্য কর্মসূচি চলছে, তাতে বেশ চাপে রয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। এরই মধ্যে মিয়ানমারের সাধারণ জনগন আবার সামরিক নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি ব্যাংক বয়কট করায় বেশ বিপাকে পড়েছে সামরিক সরকার।

এদিকে বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ রয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলো আংশিক খোলা, এটিএম থেকে নগদ উত্তোলন খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে গ্রাহকদের জন্য। এই অনিশ্চয়তা নগদ ঘাটতির উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।


ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুকরের খামার গড়ছে হুয়াওয়ে

সাত কলেজের পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত বিকেলে

হাতে নেই ছবি, তবুও বিলাসবহুল জীবনযাপন?

১৪ বছরের সুন্দরী কিশোরীকে বিয়ে করে বিপাকে পাকিস্তানি এমপি


অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এম. মাইন্ট এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ব্যাংকের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন, এখনো অর্থ তুলতে পারেননি তিনি। এএফপিকে তিনি বলেন, তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র-পরিচালিত মিডিয়ার মাধ্যমে অন্তত ঘোষণা তো করা উচিত যে আমাদের অর্থ ঠিক আছে। যদিও আমার সঞ্চয় বেশি নয়, তারপরও গুজবের কারণে আমি চিন্তিত। ’

এদিকে ইয়াঙ্গুনজুড়ে ব্যাংকগুলোর অনিয়মিত কার্যক্রম চললেও মিয়ানমারের সরকারি সংবাদপত্র নিউ লাইটের একটি বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে যে এখনো দৈনন্দিন পরিষেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য জনগণকে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

news24bd.tv / নকিব