তামিমার মায়ের নামে মামলা না করার কারণ জানালেন রাকিব

তামিমার মায়ের নামে মামলা না করার কারণ জানালেন রাকিব

অনলাইন ডেস্ক

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু তামিমার মাকে এতে জড়ানো হয়নি।

এর কারণ হিসেবে রাকিব বলেন, ‘আমি প্রতিকার চেয়ে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মামলায় তামিমার মাকেও আসামি করতাম।

মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে আসামি করিনি। হাজার হলেও আমি তাকে মা বলে ডেকেছি। ’

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে দণ্ডবিধি ৪৯৪/৪৯৭/৪৯৮ ও ৫০০ ধারায়। এ ধারাগুলোর সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড।


সিইসি-রেজাউল, নির্বাচন কর্মকর্তা ও অন্য ছয় মেয়রপ্রার্থীর নামে মামলা

প্রতিদিন নতুন নারী লাগত তার, পরতেন ত্রিশ দিনে ৩০ সানগ্লাস

স্ত্রীকে সৌদি পাঠিয়ে ৮ বছরের মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণ করে বাবা

বন্ধুর স্ত্রীর ‘গোপন ভিডিও’ ধারণ, ভয় দেখিয়ে আটমাস ধরে ‘ধর্ষণ’


মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর (রাকিব হাসান) সঙ্গে মামলার ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৩ লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে ও রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তোবা হাসান নামে তাদের একটি মেয়ে রয়েছে, যার বর্তমান বয়স ৮ বছর।

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত আছেন। চাকরির সুবাদে ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন তিনি। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করেন তামিমা। এ সময় ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।

মামলায় বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ২ নম্বর আসামির (ক্রিকেটার নাসির) কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা বাদীর নজরে আসে। বাদী এই ধরনের ছবি দেখে হতবাক হয়ে যান। পরবর্তীতে পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ দেখে তিনি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত হন। এছাড়া তাদের গায়ে হলুদ ও বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়, যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসির বাদীকে ফোন করে জানান, সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার নাসিরকে বিয়ে করা, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। আসামির সঙ্গে তিনি অবৈধ বিয়ের সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা নিকৃষ্ট ব্যভিচার।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশুকন্যা মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে বাদীর চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা বাদীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।