এক যুগেও শেষ হয়নি বিডিআর হত্যার দুই মামলার বিচার

এক যুগেও শেষ হয়নি বিডিআর হত্যার দুই মামলার বিচার

Other

পিলখানার নির্মম হত্যাকণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হলেও এই ঘটনায় দুটি মামলার বিচারকাজ এখনো শেষ হয়নি। হত্যা মামলার হাইকোর্টের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড হলেও এখনো শুরু হয়নি আপিল শুনানি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, শুনানি শুরু হতে পারে এ বছরের ডিসেম্বরে।

আর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলাটি এখনো রয়েছে সাক্ষগ্রহণ পর্যায়ে।

ফলে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ারাও মুক্তি পাচ্ছেন না এই মামলার কারণে। বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি নিহত সেনাসদস্যদের পরিবারের।

২০০৯ সালের আজকের দিনটি দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। তৎকালীন বিডিআরের বার্ষিক দরবার শুরুর একটু পরই, মুহুর্মুহু গুলির শব্দ ভেসে আসে পিলখানার ভেতর থেকে।

একদল বিপৎগামী সৈনিকের বিদ্রোহে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। দেশের এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়ে জাতি আজও শোকাচ্ছন্ন।

সেই ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলাটির হাইকোর্টের রায় পাওয়া গেছে, রায়ে মৃত্যদণ্ড বহাল রয়েছে ১৩৯ জনের। নানা কারণে ঝুলে থাকা আপিল ও লীভ টু আপিলের শুনানি দ্রতই শুরু হবে, আশা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমীন উদ্দিনের।

তিনি বলছেন, তিনজন বিচারপতি রায় দিয়েছেন। বিভিন্ন কাগজপত্রসহ প্রায় ৫০ হাজার কাগজ জমা দিতে হয়েছে। আশা করছি এ বছরের শেষের দিকে শুনানি হতে পারে।

একই ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্যের মামলাটির এতবছর পরেও কেবল সাক্ষগ্রহণ চলছে। হত্যা মামলা থেকে ২২২ আসামি খালাস পেলেও মুক্তি মিলছে না বিস্ফারক দ্রব্য মামলার কারণে। ফলে হতাশা বাড়ছে দুইপক্ষেরই।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলছেন, এই ঘটনার দুটি মামলা একটি হত্যা অপরটি বিস্ফোরক আইনে করা। হত্যা মামলাটি হাইকোর্টে রায় হয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু বিস্ফোরক মামলাটি এখনও নিম্ন আদালতে। এবং এই মামলায় এখন পর্যন্ত মাত্র ১৮০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:


ফেনীতে ফুড কারখানায় ভয়াবহ আগুন

উপনির্বাচনে পাপুলের আসনে প্রার্থী কারা

নৃশংস পিলখানা হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্তি আজ

যে শর্ত মানলে ইরানের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের সুযোগ পাবে আইএইএ


সেদিনের ঘটনার শিকার পরিবারগুলো ভুলতে পারেন না দুঃসহ সেই স্মৃতিকে। নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবার দিনটি পালন করছে শোক ও শ্রদ্ধায়। নিহত পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার।

নিহত সেনা শহীদ মেজর মোহম্মদ মমিনুল ইসলামের স্ত্রী সানজানা সোনিয়া বলছেন, ২৫ তারিখের এই ঘটনার পরে আমি খবর পাই। আমার স্বামীর চেহারাটাও আমাকে দেখানো হয়নি। তবে ওই সময় যদি না দেখতাম আমি কখনও বিশ্বাসই করতে পারতাম না এটাই আমার স্বামী।

শহীদ সুবেদার নুরুল ইসলামের মেয়ে নাসরিন আক্তার ইতি বলছেন, বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত এই স্মৃতি তাড়া করে বেড়াতো। বিভিন্ন সময় অনেক অনুষ্ঠানে যখন বাজি ফুটানো হয় তখন আমার কাছে মনে হয় সেদিনের সেই গুলির আওয়াজ।

বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন নিহত সেনাদের পরিবাররা।

news24bd.tv আহমেদ