পিলখানা হত্যা: শহীদদের সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পিলখানা হত্যা: শহীদদের সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

অনলাইন ডেস্ক

মর্মান্তিক পিলখানা হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্তি আজ। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন। ২০০৯ সালের এই দিনে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল কিছু বিপথগামী সৈনিক।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিরা নিহত সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

রাষ্ট্রপতির পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিজিবির মহাপরিচালক এবং নিহত কর্মকর্তাদের স্বজনরাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কোরআন খানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

দিনটি উপলক্ষে বিজিবির সব সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটে বিজিবির পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সদস্যরা দিবসটি উপলক্ষে কালো ব্যাজ পরিধান করবেন।

নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা সেক্টর মসজিদ ও পিলখানার বর্ডার গার্ড হাসপাতাল মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিজিবির কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এ ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদদের আত্মীয়-স্বজন, পিলখানায় কর্মরত সব কর্মকর্তা দোয়া ও মিলাদে যোগ দেবেন।

আরও পড়ুন:


আমি ভেতর ভেতর খুবই উন্মাদ: নোরা ফাতেহি

ইরানের পরমাণু কর্মসূচির জন্য গঠনমূলক পন্থা প্রয়োজন: রাশিয়া

কম্ব্যাট ড্রোন উৎপাদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ইরান

তামিমার পাসপোর্ট নাকি ডিভোর্স পেপার, কোনটা আসল?


২০০৯ সালে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সপ্তাহ চলাকালে ২৫ ফেব্রুয়ারি সশস্ত্র বিদ্রোহ করেন বাহিনীর কয়েকশ সদস্য। তাদের হাতে পিলখানা সদরদপ্তরে নিহত হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। পরে সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের আলোচনা শেষে পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড জমাদানের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি হয়।

ঘটনার জেটপাট ও বিদ্রোহের এ ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা দায়ের করা হয়। হত্যার এক মামলায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএনপির প্রয়াত নেরে আধাসামরিক বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।

হত্যা, লুতা নাসিরুদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অন্যদিকে বিদ্রোহের জন্য দায়ের করা ৫৭ মামলায় বিডিআরের মোট পাঁচ হাজার ৯২৬ জন সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে (চার মাস থেকে সাত বছর) কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। রায় প্রদানকারী তিন বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার এ রায়টি প্রকাশ করা হয়। রায়ের দৈর্ঘ্য এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ রায়।

news24bd.tv আহমেদ