এম ভি বোরহান সরদার নামের এক সিমেন্ট ক্লিংকার বাহী লাইটার জাহাজ ১১ জন নাবিক সহ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে। মেঘনা নদীর লক্ষীপুরের, রামগতি থানাধীন গজারিয়ার চর এলাকায় যখন তারা পৌঁছায় তখন রাত নেমে আসে। নদীতে তখন কুয়াশার কারণে তাদের দৃষ্টিসীমা কমে গিয়েছিল। সেখানে নোঙ্গর করে রাত কাটিয়ে সকালে রওনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
রাত তখন সাড়ে এগারোটা। কুয়াশার কারণে দিকভ্রান্ত হয়ে সেতু ৬ নামে একটি জাহাজ তাদের নোঙর করা জাহাজকে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। ধাক্কায় তাদের জাহাজের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। কুয়াশার কারণে চারপাশে পরিষ্কার কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।
সেই দুই ভাইয়ের সাড়ে ৫ হাজার বিঘা জমি, ৫৫টি বাস ক্রোকের নির্দেশ
দেশে করোনার সর্বশেষ মৃত্যু-শনাক্তের তথ্য
টিকা নেয়ার ১২ দিন পর ত্রাণ সচিবের করোনা শনাক্ত
চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে রাস্তায় পড়ে মারা গেলো মেয়েটি
৯৯৯ যখন মো. সোহেলের ফোন কলটি রিসিভ করে রাত তখন একটা বাজতে এক মিনিট বাকি। ৯৯৯ তাৎক্ষণিক ভাবে নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বিষয়টি জানায়। নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বিষয়টি লক্ষীপুরের বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে জানানো হয়। ঘটনাস্থল বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে নৌপথে ১২/১৩ কিমিঃ দূরত্বে অবস্থিত।
সংবাদ পেয়ে বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল উদ্ধারকারী নৌযান যোগে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রাত দুইটার দিকে । কিন্তু কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় তাদের যথেষ্ট সাবধাণে এবং ধীরে নৌ পথে অগ্রসর হতে হয়েছে। অবশেষে ভোর পাঁচটার টার একটু পরে কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘনা নদী থেকে একটি মাছ ধরা ট্রলারের সহযোগিতায় নদীতে লাইফ জ্যাকেট পরে ভাসমান অবস্থায় ১১ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে এম ভি বোরহান সর্দার ১ সম্পূর্ণ রূপে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। উদ্ধারকৃত নাবিকদের নিরাপদে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে এবং তারা সবাই সুস্থ আছেন।
news24bd.tv / কামরুল