তামাক সেবনে বাড়ে স্ট্রোকের ঝুকি

তামাক সেবনে বাড়ে স্ট্রোকের ঝুকি

অনলাইন ডেস্ক

বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় সাত হাজারের বেশি ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৭০টি ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী। বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া নারী, শিশুসহ অধূমপায়ীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ধোঁয়া তিলে তিলে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে।

প্রতিবছর ১৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে যাদের ৩০ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেন এবং প্রায় ৬০ শতাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন। স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণগুলোকে দু’ভাগে আলাদা করা যায়- পরিবর্তনযোগ্য ও অপরিবর্তনীয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বদ অভ্যাস- তামাক সেবন ও মদ্যপান যা হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস এগুলোসহ মস্তিষ্কে স্ট্রোক ঘটাতে পারে। ধূমপানে স্ট্রোক ঝুঁকি দ্বিগুণের বেশি বাড়ে।

১৯৬৪ সাল থেকেই স্ট্রোক ও তামাক সেবনের সম্পর্কে আমেরিকান সার্জন জেনারেলের রিপোর্ট তুলে ধরা হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো-

* ধূমপান প্রত্যক্ষভাবে মস্তিষ্কের রক্তনালির রোগ বৃদ্ধির জন্য দায়ী

* ধূমপান ইসকেমিক স্ট্রোকের হার বাড়ায়

* তামাক সেবন সাব-অ্যারাকনয়েড হেমোরেজের ঝুঁকি বাড়ায়


নাসির প্রেমিক না আমার বন্ধু : মডেল মিম

আমার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আমিও মজায় আছি : নাসিরের সাবেক প্রেমিকা

বাংলাদেশে সেরা লাইকি

আমাকে নিয়ে আর খেলতে দিবো না : মিলা


 

* ধূমপান ছাড়ার ৪-৫ বছর পর স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে অধূমপায়ীদের সমান হয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী স্ট্রোকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ঝুঁকি হল উচ্চরক্তচাপ ও তামাক সেবন বা ধূমপান যা সদিচ্ছা থাকলে পরিবর্তন করা সম্ভব। সিগারেট ধূমপানের পাশাপাশি অন্যান্য উপায় যেমন জর্দা পান, গুল ইত্যাদি সেবনেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং বা পরোক্ষভাবে ধূমপায়ীরা একই ধরনের পদ্ধতিতে স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন।

নিকোটিন, কার্বন মনোক্সাইড ও অন্যান্য জারক গ্যাসগুলো রক্তনালির এন্ডোথেলিয়ামে ক্ষত তৈরি করে, কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে থামিয়ে দেয় যা থ্রোম্বোসিস বা রক্তক্ষরণে রূপ নেয় অদূর ভবিষ্যতেই। তামাকের কেমিক্যাল মস্তিষ্কের রক্তনালিতে প্রদাহ সৃষ্টি করে, রক্তনালির সংকোচন ঘটায় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে যা পরিশেষে ইসকেমিক স্ট্রোকে রূপ নেয়।

এ ছাড়া তামাকে উপস্থিত ২০০০-এরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপের জন্য দায়ী- যা স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা ত্বরান্বিত করে। সাম্প্রতিক ২০টি স্ট্রোকবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণায় পরোক্ষ ধূমপান ও স্ট্রোকের মধ্যে সম্পর্ক প্রমাণিত হয়। উল্লেখ্য, সিগারেট সংখ্যার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই; দিনে ২-৪ শলাকা নিয়মিত সেবন করলেও স্ট্রোকে ভুগে অকাল মৃত্যু বা পঙ্গুত্ববরণ করতে হতে পারে। সিগারেট শলাকার সংখ্যা যত বাড়বে, স্ট্রোকের ঝুঁকি তত বেশি।

তবে যারা ধূমপান বদ অভ্যাস ছাড়ার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য রয়েছে সুখবর! ১২ বছরের ফলোআপে দেখা গেছে, স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ধূমপান ছাড়ার পর। ২৬ বছরের একটি প্রোসপেক্টিভ কোহর্ট গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, স্ট্রোকের ঝুঁকি ধূমপান ছাড়ার ২ বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়; ৫ বছর পর এ ঝুঁকি অধূমপায়ীদের কাছাকাছি নেমে আসে।

আমাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি এ ধরনের বদ অভ্যাস পরিহার করতে সবাইকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

news24bd.tv/আলী