যখন গর্ভনিরোধক পিল খাওয়া মানা

যখন গর্ভনিরোধক পিল খাওয়া মানা

অনলাইন ডেস্ক

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে আজকাল জরুরি গর্ভনিরোধক পিল খাওয়ার একটা বেশ চল হয়েছে। অনেকে গর্ভধারণের ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে একই মাসে এ ধরনের জরুরি গর্ভনিরোধক পিল একাধিকবার খেয়েছেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। সাধারণত অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের ৭২ থেকে ১২০ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল খেতে হয়।

এই পিল খেলে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয়ে জরায়ুতে আসতে দেরি হয়।

এই সময়ের মধ্যে জরায়ুতে থাকা শুক্রাণুগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ডিম্বাণু শুক্রাণুর সঙ্গে নিষিক্ত হতে পারে না। ফলে গর্ভধারণও হয় না।  

গর্ভনিরোধক পিল সবসময় খাওয়া ঠিক নয়।

এতে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

গর্ভনিরোধক পিল কখন খাওয়া উচিত নয়  :

এক পায়ে বা পশ্চাদদেশ একটানা ব্যথা থাকলে অথবা আগে থ্রম্বোএম বোলিক রোগের ইতিহাস থাকলে।

আগের গর্ভকালীন জন্ডিস এবং চুলকানির ইতিহাস থাকলে।


অভাব দুর হবে, বাড়বে ধন-সম্পদ যে আমলে

সূরা কাহাফ তিলাওয়াতে রয়েছে বিশেষ ফজিলত

করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে বাধা নেই ইসলামে

নামাজে মনোযোগী হওয়ার কৌশল


 

লিভারের রোগে ভুগলে পিল খাওয়া ঠিক হবে না। তবে আগে জন্ডিসে ভোগার পর বর্তমানে সেরাম বিলিরুবিন, এসজিপিটি, সেরাম এলকালাইন ফসফাটেজের  মাত্রা স্বাভাবিক থাকলে খেতে বাধা নেই।

ডায়াবেটিস থাকলে।

বহুদিন ধরে রক্তচাপ জনিত রোগে ভুগলে।

মাইগ্রেন বা আধ কপালে মাথাব্যথা থাকলে, ইপিলেপসি বা মৃগী রোগ থাকলে।

হাঁপানি থাকলে। কারণ, পিল খেলে হাঁপানি আরো বাড়তে পারে।

গর্ভাবস্থায় এবং ইতিপর্বে গর্ভকালীন সময়ে হার্পিস নামক ভাইরাসজনিত রোগের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস  থাকলে।
বিশেষ ধরনের সিকলসেল অ্যানিমিয়া হলে।

চর্বির বিপাকজনিত রোগে ভুগলে।

স্তন  ও জরায়ু মুখের এবং জরায়ুর ক্যানসার থাকলে কিংবা শরীরে কোনো সন্দেহ জনক টিউমার থাকলে।

এ ছাড়াও কোনো অস্ত্রোপচারের চার থেকে ছয় সপ্তাহ আগে থেকে পিল খাওয়া বন্ধ রাখা উচিত। এতে করে অস্ত্রোপচারের পরবর্তী থ্রম্বোএম্বোলিক রোগের সম্ভাবনা কমে যায়।

নিউটন বলেছিলেন, প্রতিটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। কিন্তু যেকোনো ওষুধের ক্ষেত্রে ‘সমান ও বিপরীত’ কথাটার মতো সামান্য নয় ব্যাপারগুলো। বরং প্রতিটি ওষুধেরই ক্ষেত্রবিশেষে বেশ বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ‘ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ’ হলেও তাই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সুবিবেচক হতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

news24bd.tv/আলী