গত ডিসেম্বরের ঘটনা। একটি সাদা মাইক্রোবাস এসে থামে ভারতের ভোপালের এক বস্তিতে। গাড়ি থেকে মাইকিং করা হয়, করোনার ভ্যাকসিন নিলে দেয়া হবে ৭৫০ রুপি।
যা সেই বস্তির বেশিরভাগ মানুষের দৈনিক রোজগারের প্রায় দ্বিগুন।
তার উপরে এই অতিমারির মধ্যে সেসময়ে অনেকের হাতেই কাজ ছিলো না। ফলে এই প্রস্তাব ফেরানো তাদের অনেকের পক্ষেই সম্ভব ছিল না।তারা জানতো তাদেরকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। কিন্ত আদতে যে ভ্যাকসিন দেয়ার নাম করে তাদের ওপর ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে তা তারা জানতোই না! সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
ওই বস্তিতে যারা টিকা নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন গৃহিণী যশোদা বাই যাদব। তিনি ও তার স্বামী এই ঘোষণার পর টিকা নিয়েছিলেন সেখান থেকে। তিনি বলেন, “তারা আমাদের বলেছিলো এটা করোনার ভ্যাকসিন। আমরা যাতে অসুস্থ না হই তাই এটা আমাদের নেয়া উচিত। ”
বস্তিবাসী জানায়, তারা পরবর্তীতে জানতে পারে তাদের ওপর ভারতের নিজস্ব করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ এর ট্রায়াল চালানো হয়েছে।
তাদের ওপর ট্রায়ালের ফেজ-৩ চালানো হয়েছে। এই ধাপে অর্ধেক অংশগ্রহণকারীর শরীরে টিকা ও বাকি অর্ধেকের শরীরে প্লাসিবো দেয়া হয়।
রাধা আহেরওয়ার নামে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে সিএনএন-কে বলেন, “তো আমরা টিকা পেয়েছি কিনা তাও জানি না! হয়তো আমাদের শরীরে ইঞ্জেকশন দিয়ে শুধুমাত্র পানি প্রবেশ করানো হয়েছে। ”
ভূতের আছর থেকে বাঁচতে পৈশাচিক কান্ড
বাইডেনের নির্দেশে সিরিয়ায় বিমান হামলা
হৃদরোগে মৃত্যুর পরও ফাঁসিতে ঝুলানো হল নিথর দেহ
৭ সন্তান নিতে স্বেচ্ছায় দেড় লাখ ডলার জরিমানা গুনলেন চীনা দম্পতি
তবে পিপল’স হাসপাতালের যে দলটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের দায়িত্বে ছিলো তারা হয়তো ভালোভাবে ট্রায়ালের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারে নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে এরকমটা হয়ে থাকলে তা ট্রায়ালের শর্ত, নৈতিকতাকে এবং প্রাপ্ত তথ্যের মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিকেল এথিক্স এর সম্পাদক আমার জোশি।
এছাড়া এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা দিয়ে দ্বিধাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে বলেও মনে করেন তিনি।
news24bd.tv / নকিব