নিজের ৭ কোটি টাকা বেতন কমিয়ে বৃদ্ধি করলেন কর্মীদের বেতন

নিজের ৭ কোটি টাকা বেতন কমিয়ে বৃদ্ধি করলেন কর্মীদের বেতন

অনলাইন ডেস্ক

এমন নজির সত্যিই বিরল। কারণ কর্মীরা সব কিছু করতে পারে কিন্তু বেতন নিয়ে কোন ছাড় দেয় না কেউ। অফিসের সকল নিয়ম অনিয়ম মেনে নিলেও একজন কর্মীর অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু এমন একটি সংস্থা রয়েছে যেখানে না চাইতেই এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কর্মীদের বিপুল পরিমাণ বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

কর্মীদের বেতন বাড়াতে গিয়ে নিজের বেতন কমিয়ে দিয়েছেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও! সংস্থা থেকে প্রতি বছরে কর্মচারীদের সমান বেতন নিচ্ছেন তিনিও!

news24bd.tv

সংস্থাটির নাম গ্রাভিটি পেমেন্টস। আর কর্মীবান্ধব এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সারাবিশ্বের নজরে এসেছেন সংস্থার সিইও ড্যান প্রাইস। মাত্র ১৯ বছর বয়সে গ্রাভিটি পেমেন্টস সংস্থা চালু করেন তিনি। তখন তিনি কলেজে পড়েন।

একটি ঘর থেকেই শুরু হয়েছিল গ্রাভিটি পেমেন্টসের যাত্রা।

news24bd.tv

গ্রাভিটি পেমেন্টস একটি ক্রেডিট কার্ড প্রসেসিং সংস্থা। এর সদর দপ্তর ওয়াশিংটনের বালার্ডে। ২০০৪ সালে ড্যান প্রাইস এবং তাঁর ভাই লুকাস সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাত্র ৪ বছরের মধ্যেই ওয়াশিংটনের সবচেয়ে বড় ক্রেডিট কার্ড সংস্থায় পরিণত হয় এটি। সংস্থাটির গ্রাহকের সংখ্যা এখন ১৫ হাজারেরও বেশি।

news24bd.tv

শ’দুয়েক কর্মী কাজ করেন এই সংস্থায়। ২০১৫ সালে ছোট্ট এই সংস্থাটি সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যখন এর সিইও ড্যান তাঁর সংস্থার প্রত্যেক কর্মীর বেতন অন্তত ৭০ হাজার ডলার করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। ২০১৯ সালে প্রত্যেক কর্মীর বেতন ১০ হাজার ডলার বাড়িয়ে দেন তিনি। প্রতি বছরই এ ভাবে বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মীদের।

আরও পড়ুন:


‘ফ্রান্সের অস্ত্র বিক্রির কারণে বিপর্যস্ত ইয়েমেন’

বরিশালে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত

লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া কাল

কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় টরন্টো সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদ


news24bd.tv

কঠিন সময়ে এবং মূল্যবৃদ্ধির আবহে যাতে কোনও কর্মচারীকেই সমস্যায় না পড়তে হয় তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিইও ড্যান। ড্যান আগের বছরে সংস্থা থেকে ১০ লক্ষ ডলার বেতন নিতেন। এখন তিনি বছরে মাত্র ৭০ হাজার ডলার বেতন নেন। অর্থাৎ ৯ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার।

news24bd.tv

ড্যানের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেননি সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং তাঁর ভাই লুকাস। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে আইনি লড়াইও চলেছে। তবে দু’ভাইয়ের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও এই সিদ্ধান্তে আখেরে সংস্থার লাভ হয়েছে অনেকটাই। ২০১৪ সালে যা লাভ করছিল সংস্থাটি ওই ঘোষণার পর তা দ্বিগুণ হয়ে যায়।

২০২০ সালে মহামারির প্রভাব পড়ার আগে পর্যন্ত প্রতি মাসে ৪০ লাখ ডলার আয় করেছিল সংস্থাটি। ড্যানের এখন বয়স ৩৬ বছর। ৩১ বছরেই ড্যান কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর মতে, যে সমস্ত ধনকুবের নিজেদের আয়ের সামান্য অংশ দান করেন বা হয়তো নিজের নামে কোনও হাসপাতাল বানান, বেশির ভাগই কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমন করে থাকেন। তিনি যে সে পথে হাঁটেত নারাজ তা-ও জানান তিনি।

news24bd.tv আহমেদ