তামিমার পাসপোর্ট ও ডিভোর্সের  ঠিকানার অস্তিত্ব নেই !

তামিমার পাসপোর্ট ও ডিভোর্সের ঠিকানার অস্তিত্ব নেই !

অনলাইন ডেস্ক

ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিয়ে বর্তমান সময়ে আলোচিত বিষয়।   তবে তামিমা সুলতানার পাসপোর্ট ও আগের স্বামী রাকিবকে দেওয়া ডিভোর্সের কাগজে লেখা পোস্ট অফিস ও যে গ্রামের নাম লেখা রয়েছে টাঙ্গাইল সদরে ওই ঠিকানার কোনও অস্তিত্ব নেই।

news24bd.tv

জানা যায়, তামিমার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া গ্রামে। ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণে লোকেরপাড়া গ্রামের অবস্থান।

 

তামিমার চাচা জাহিদুর রহমান বিপ্লব জানান, তারা চার ভাই। তামিমার বাবা সহিদুর রহমান স্বপন সবার বড়। তিনি ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মা সুমী আক্তার।

এলাকাবাসী তামিমাকে চিনেন শবনম নামে। এটা তার ডাক নাম।

news24bd.tv

চাচা বিপ্লব আরও জানান, গ্রামে তামিমার খুব একটা আসা-যাওয়া নেই। বছর দুয়েক আগে একবার এসেছিল তামিমা। তবে ওর বাবা মাঝে মাঝেই আসেন। বড় হয়েছে টাঙ্গাইল শহরে। লেখাপড়া, টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন।

একই কলেজে ভূগোল বিষয়ে অনার্স অধ্যয়নরত আছে। সম্রাট (২৫) ও অভি (১৭) নামে তার ছোট দুই ভাই রয়েছে। রাকিব তামিমার প্রেমের বিয়ের শুরুতে ওর মা বাবা মেনে না নিলেও পরে মেনে নেন।


কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক মৃত্যুতে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

বগুড়ায় সকাল ও দুপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরল ৬ প্রাণ

যা দেখে নাসিরকে ভালোবেসেছিলেন তামিমা


ডিভোর্স এর বিষয় তিনি জানান, আমরা জানি পারিবারিকভাবেই তামিমা রাকিবকে তালাক দিয়েছে। পরে নাসিরকে বিয়ে করেছে। নাসির তামিমার বিয়ে নিয়ে এতো কিছু হয়ে গেলেও এখনও তেমন কিছুই জানেন না তার নিজ গ্রামের মানুষ।

এদিকে তামিমা তার পাসপোর্টে ঠিকানা দিয়েছেন গ্রাম লোকেরপাড়া, পোস্ট অফিস সিঙ্গুরিয়া টাঙ্গাইল সদর। প্রকৃতপক্ষে এই ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব নেই টাঙ্গাইল সদরে। ওই ঠিকানাটি ঘাটাইল উপজেলায়।

news24bd.tv

পাসপোর্ট ও ডিভোর্স কাগজে ভুল ঠিকানা ব্যবহারের বিষয়ে মোবাইল ফোনে তামিমার বাবা সহিদুর রহমান স্বপন বলেন, যখন তামিমার এয়ারলাইনসে চাকরি হয় তখন জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে হয়। সে সময় হয়তো ভুল হয়ে থাকতে পারে।

তামিমার ভাই সম্রাট জানান, ২০১৬ সালে রাকিবকে তামিমা তালাক দিয়েছেন এবং পাসপোর্টটা রি-ইস্যু করা হয়েছে ২০১৮ সালে। তালাকের প্রমাণপত্রও রয়েছে আমাদের কাছে। তারপরও তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে।

আরও জানা যায়, তামিমা সুলতানা ঢাকা থেকে পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন। পাসপোর্টটি ইস্যু হয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর নাদিরা আক্তারের স্বাক্ষরে।

news24bd.tv / কামরুল