ইন্টারনেট দুনিয়ায় নতুন দুই নিরাপত্তারক্ষী টোর ও সাইফন

ইন্টারনেট দুনিয়ায় নতুন দুই নিরাপত্তারক্ষী টোর ও সাইফন

অনলাইন ডেস্ক

অন্যে ক্ষতি করতে পারে এমন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে তথ্য গোপন করে ইন্টারনেট ব্যবহার করা বেশিরভাগ সময়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব? এ বিষয়ে সহজলভ্য এবং শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়ার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তবে অন্তর্জালের পরতে পরতে কতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে সে ধারণা কিছুটা থাকলে নিরাপদে ব্রাউজ করা সম্ভব।

কিন্তু, ইন্টারনেটে কোন বিষয় কতভাবে গোপনীয়তা ভঙ্গ হতে পারে তা বলা মুশকিল।

বস্তুতপক্ষে ইন্টারনেটের সবই সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত এমন সব মানুষের কাছেই উন্মুক্ত। পোস্টকার্ডের লেখা যেমন প্রেরক এবং প্রাপক ছাড়াও ইচ্ছে করলে যে কেউ পড়তে পারেন, ইন্টারনেটের ট্রাফিকও ঠিক সেরক। সেখানে পরিচয় প্রকাশ করার মতো অনেক তথ্যই প্রায় উন্মুক্ত থাকে। প্রথমে বলা যেতে পারে কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেসের কথা।

আজকাল অবশ্য এর বাইরেও অনেক কিছু দিয়েই ব্যবহারকারীকে চিনে নেয়া যায়। এমনকি কম্পিউটারের ব্রাউজার প্লাগইন, স্ক্রিন রেজোলিউশন, উইনডোজের আকার, ভাষা, সময় ইত্যাদি দিয়েও ব্যক্তিকে চেনা যায়। এমনকি আধুনিক প্রযুক্তির এই বিশ্বে ফিঙ্গারপ্রিন্টও সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষের কাছে একজনের পরিচয় প্রকাশে সহায়ক হতে পারে। তাকে চিনে নিতে তখন আইপি অ্যাড্রেসেরও দরকার পড়ে না।


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ ছাত্র ফেডারেশনের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আল্টিমেটাম

শাকিবের হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করলেন বুবলি, জল্পনা তুঙ্গে

মহাসমাবেশে যোগ দিতে খুলনায় ইশরাক, পথে বাধার অভিযোগ


টোর (Tor) মানে ‘দ্য অনিয়ন রাউটার’। পেঁয়াজের খোসার মতো স্তরে স্তরে গড়ে তোলা নিরাপত্তা প্রাচীর দিয়ে এই ব্রাউজার ব্যবহারকারীকে আড়ালে রাখে। সার্ভারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে হয় না বলে এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।

ক্যানাডার তৈরি সাইফনও নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। এতে এমন ধরনের অ্যাপ এবং কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহারের সুযোগ থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের সেন্সরশিপ এড়ানোর মেকানিজম গড়ে তুলতে সক্ষম।

তাই টোর অথবা সাইফন ব্যবহার করে ব্যক্তি সহজেই নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন।   

news24bd.tv/আয়শা