দেশীয় বাজারে সিমেন্টের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে। কারণ বিশ্ববাজারে সিমেন্টের কাঁচামালের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কাঁচামালের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন সিমেন্ট উৎপাদকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ক্লিংকার প্রস্তুতে ব্যবহৃত জ্বালানি কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্লিংকারের উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
চীন হঠাৎ করে কয়লার আমদানি বৃদ্ধি করায় দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে। উৎপাদন পর্যায়ে আগে যেখানে প্রতি টন কয়লার মূল্য ছিল ৪০ থেকে ৪২ মার্কিন ডলার, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ ডলারে। সিমেন্টের অন্যতম কাঁচামাল ক্লিংকারের দাম বাড়ছেই। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ক্লিংকারের দাম ৪২ ডলার থেকে বেড়ে ৫৪ ডলার হয়েছে।জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সক্রিয় সিমেন্ট উৎপাদন কারখানা রয়েছে ৩৫টি। সারা দেশে সিমেন্টের চাহিদা ৩৫ মিলিয়ন টন হলেও কারখানাগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৮০ মিলিয়ন টন। আগামী তিন বছরে সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতা আরও ১১ মিলিয়ন টন যুক্ত হবে। দেশে সিমেন্টের বার্ষিক চাহিদা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টন। এ খাতে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। ফলে সরকারি কোষাগার প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্বও পায়। পাশাপাশি সরকার সিমেন্ট কোম্পানিগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ আয়করও পেয়ে থাকে। এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। বিসিএমএ সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া, অসমন্বয়যোগ্য অগ্রিম আয়কর, তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে সিমেন্টের নিম্নমুখী দামের প্রবণতা এবং নদীপথে ও সড়কপথে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে প্রায় সব সিমেন্ট কোম্পানি ক্ষতির সম্মুখীন। খুচরা বাজারমূল্য অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত সিমেন্ট খাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র- বিডি প্রতিদিন।