বেড়াতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা

বেড়াতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা

অনলাইন ডেস্ক

সকালে আমাকে বলা হলো ‘লাইফ আফটার করোনা’ নিয়ে একটা ব্লগ লিখতে। বিষয়টা পছন্দ হয়েছে আমার। কারণ সারা বিশ্ব জুড়েই কম-বেশি হত্যা, খুন, হামলা, মামলা, অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতির মতো নানা খবর প্রতিদিন দেখতে আর ভালো লাগছে না। তাছাড়া করোনা তো আছেই নিত্যদিনের সঙ্গী।

সত্যি বলতে কি, যাওয়া হোক বা না হোক মাস্ক ছাড়া, কোনো ভয় ছাড়া কোথাও ছুটি কাটাতে যাবো একথা ভাবতেই ভীষণ ভালো লাগে।

ভ্রমণ পিপাসুদের তালিকায় বিশ্বে জার্মানরা এক নম্বরে রয়েছে। ভ্রমণও করোনার মতো ছোঁয়াচে কিনা জানি না তবে আমাদের কাছেও ছুটি কাটানো মানেই জার্মানদের মতো দূর-দূরান্তে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। এবং আগে থেকেই তার পরিকল্পনা করা।

আবহাওয়ার সাথে বেড়ানোর একটা মাখামাখি সম্পর্ক। জার্মানিতে ক্যালেন্ডারের পাতায় এখনও বসন্ত না এলেও কিন্তু দিনের বেলার মিষ্টি রোদ আর তাপমাত্রা বসন্তের আগমন জানান দিচ্ছে অর্থাৎ ছুটির প্ল্যান করো।

আমার ব্রিটিশ বন্ধু মনিকা অনেকদিন দেশে যায়নি। করোনার পরে তার পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে সে বললো তার প্রথম ভ্রমণ হবে ইংল্যান্ডে, নিজের মাকে দেখতে যাবে। মনিকার স্কটিশ স্বামী জুলিয়েনেরও প্রায় একই প্ল্যান। তাছাড়াও ওদের দুজনের জন্য ছোট্ট একটি বোট বা নৌকা রয়েছে সেটা ১ এপ্রিল থেকে প্রতি উইকেন্ডে ওটা চালাতে যাবে পাশের দেশ হল্যান্ডে।


যে জায়গায় মিল পাওয়া গেছে বুবলী-দীঘির

সোনালির প্রেমে পড়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন যেসব তারকারা

পুলিশ হেফাজতে আইনজীবীর মৃত্যু: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

ভাসানচরে যাচ্ছে দুই হাজারের বেশি রোহিঙ্গা


শীতকালে ওখানেই বোটটি রাখা থাকে। আর আমাদের পোলিশ প্রতিবেশি বছরে কয়েকবার দেশে যায় কিন্তু গত এক বছরে মাত্র একবার গেছে, এমনকি মায়ের মৃত্যুর খবরেও ডোরোথেয়া ওর শিশু কন্যা স্বামী নিয়ে যেতে পারেনি। আসলে করোনায় যারা পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে বাধ্য হয়েছে, করোনার পরে তাদের প্রথম পছন্দ নিজেদের পরিবারের কাছে যাওয়া।

মনটাকে একটু অন্যদিকে ঘোরাতেই আজ ‘লাইফ আফটার করোনা’-র অবতারণা। কিন্তু কবে শেষ হবে করোনা, কবে আসবে সেই করোনার ‘আফটার’ বুঝতে পারছি ন। কারণ এপ্রিল মাস পর্যন্ত আবারও জার্মানির লকডাউন বাড়ানোর প্রস্তাব নাকি করা হয়েছে। আমার জার্মান বন্ধুদেরও কিন্তু করোনার পরে ঘুরতে যাওয়ার মতো নানা প্ল্যান রয়েছে, আপাতত সেসব পরিকল্পনা কেবলই মনে মনে।

জার্মানিতে থাকা নুরুননাহার সাত্তার করোনা পরবর্তী ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে এভাবেই লিখেছেন। ইউরোপে করোনার ধাক্কা গতবছর খুব বেশিই ছিল। মানুষ ঘরবন্দী থাকতে এক রকম বাধ্য হয়েছে। করোনার পরে মানুষ একটু ঘুরতে বেরাচ্ছে।

news24bd.tv আয়শা 

সম্পর্কিত খবর