পরীক্ষার নামে ডাকাতি করছে বেসরকারি হাসপাতাল

পরীক্ষার নামে ডাকাতি করছে বেসরকারি হাসপাতাল

Other

ডায়াবেটিসের এইচবিএ ওয়ান সি টেস্ট সম্পন্ন করতে খরচ মাত্র ২০০ টাকা। এ টেস্টটি প্রাইভেট হাসপাতালে করাতে রোগীকে গুনতে হয় ৫ থেকে ৮ গুণ বেশি হারে, ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা। যদিও সরকারি হাসপাতালে ফি ৩শ টাকা।

৫ থেকে ২৮ গুণ পর্যন্ত বাড়তি ফি গুনতে হয় হেপাটাইটিস পরীক্ষায়ও।

খরচ ১০০ টাকা হলেও সব ক্যাটাগরির টেস্ট মিলিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালের ফি ৫শ থেকে ২৮০০ টাকা পর্যন্ত। টেস্ট ফি নির্ধারণে কোনো নিয়ম নীতি না থাকায়, পকেট কাটছে হাসপাতালগুলো। বিপরীতে অসহায় সাধারণ রোগীরা।

দেশে চিকিৎসাখাতের বাড়তি খরচ মানুষকে করে তুলছে আরো দরিদ্র।

একজন রোগীকে সাধারণ থেকে কোনো জটিল রোগের চিকিৎসা করাতে পোহাতে হয় নানা সব টেস্টের ধকল। আর প্রাইভেট হাসপাতালে বাড়তি টেস্ট ফি’র বোঝায় দিশেহারা রোগীরা।

টেস্ট করাতে সব হাসপাতালের রিএ্জেন্ট ও প্যাথলজিক্যাল মেশিন একই। দামের ভিন্নতাটা শুধু হাসপাতাল ভেদে। কিন্তু এতেও কি সহনীয় সেই ফি? অনুসন্ধানে দেখা যায়...

এইচবিএ ওয়ান সি ডায়াবেটিসের একটি টেস্টটি করাতে রিএ্যাজেন্ট মিলিয়ে সর্বোচ্চ খরচ ২০০ টাকা। সরকারি হাসপাতালে ফি ৩শ টাকা হলেও প্রাইভেট মেডিকেলগুলো নিচ্ছে ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা পর্ন্ত। হেপাটাইটিসনহ চার ধরণের রোগের টেস্ট একটি কিটেই খরচ হয় মাত্র ১শ টাকা। অথচ সব টেস্ট মিলিয়ে রোগীদের থেকে প্রাইভেট হাসপাতাল নিচ্ছে ৫শ থেকে ২৮শ টাকা পর্যন্ত। একটি এক্স রে করতে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা খরচ হলেও নিচ্ছে ৪শ থেকে ৫শ টাকা। ব্লাড গ্রুপিংয়ের খরচ ৩০ টাকা। প্রাইভেট হাসপাতাল নিচ্ছে আড়াইশ থেকে ৫শ টাকা। আল্ট্রাসনোগ্রাফি(প্রেগনেন্সি) খরচ ১শ থেকে দেড়শ টাকা। সরকারি হাসপাতালে ২২০ টাকা নিলেও প্রাইভেটে নিচ্ছে ১৩শ থেকে ২৫শ টাকা পর্যন্ত। এমন বাড়তি ফির যাঁতাকলে থাকা রোগীরা হয়তো জানেনই না কোন টেস্টের আসল খরচ কতটা।

বলা হয়ে থাকে দেশে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর আয়ের ৮০ ভাগই আসে টেস্ট ফি থেকে। তাই অতি মুনাফাভোগী চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে মানুষকে বাঁচাতে টেস্ট ফি নীতিমালা প্রণয়নের দাবি বিশ্লেষকদের।

আরও পড়ুন:


ইরানবিরোধী থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপ, ইরান আসছেন গ্রোসি

পদত্যাগের ইঙ্গিত দিলেন ইমরান খান

আরও কমল স্বর্ণের দাম

কুয়েতে করোনারোধে দিনে ১২ ঘন্টার কারফিউ


স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সলান বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষার যে দামটা নেয়া হচ্ছে সেটি একেবারেই অযৌক্তিক। ছোট একটি ল্যাবরেটরি থেকে অনেকেই আজ হেলথ ইন্ডাস্ট্রি করে ফেলেছে।

অন্যদিকে ১০ ভাগ গরিব রোগীকে সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসা দেয়ার নীতিমালা থাকলেও তা মানছেন না বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেউ কেউ।

ইকবাল আর্সলান আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে ফ্রি বেড থাকবে যেখানে গরীব রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে। কিন্তু কোন হাসপাতালই তা মানছে না।

টেস্ট ফি সহনীয় করে হাসপাতালগুলো সঠিক ব্যবস্থাপনায় ফিরিয়ে আনার দাবি সাধারণ মানুষের।

news24bd.tv আহমেদ