ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন আমিও বাতিল চাই। তবে আমি মনে করি এতে খুব একটা লাভ হবে না। যাকে দমন করার তীব্র ইচ্ছে হবে তাকে সরকার অন্য আইন দিয়ে দমন করবে, না হয় তাকে স্রেফ গুম করে ফেলা হবে।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল হলে দমন করাটা একটু কঠিন হয়ে পড়বে, বাক স্বাধীনতা অল্প কিছুটা বাড়বে, ভয়ের কালো মেঘ সামান্য ফিঁকে হয়ে যাবে -এগুলোই যা লাভ।
তবে যদি আমরা যদি মনে করি এর ফলে দমন, নিপীড়ন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে, বাক স্বাধীনতা উল্লেখজনকভাবে বাড়বে -সেটা ভুল হবে। কারন নিপীড়ন করার সুযোগ অন্য আইনেও আছে।একজন ভয়ংকর মানুষের হাত থেকে একটা অস্র নিয়ে নিলে সে অন্য অস্র ব্যবহার করবে। কোন অস্র না থাকলে গলা টিপে কাউকে মেরে ফেলবে।
প্রকৃত নির্বাচিত সরকার গঠনের আন্দোলন ছাড়া তাই আমাদের বিকল্প নেই। এমন নির্বাচিত সরকারও অত্যাচারী হবে, তবে বিনা ভোটের সরকারের মতো নয়। জাষ্ট আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ সালের সরকারের সাথে ২০১৮ সালেল সরকারের তুলনা করলে বিষয়টি বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন:
আবারও স্বর্ণের দরপতন, ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দাম
রণবীরের সঙ্গে ক্যাটরিনার খোলামেলা ছবি বিশ্বাস হয়নি সালমানের
‘ভয়ঙ্কর একটি শক্তি’ ভিন্নমতের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে: ফখরুল
প্রকৃত নির্বাচনের পরের ধাপে (বা সাথে সাথে) আমাদেরকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে (সংসদীয় কমিটি, উচ্চ আদালত, স্থানীয় প্রশাসন) শক্তিশালী ও স্বাধীন করার আন্দোলন করতে হবে।
ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যক্ট বাতিলের দাবীর সাথে সাথে অবিলম্বে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবী তোলা উচিত বলে আমি মনে করি। না হলে এই আইন বাতিলের সুফল খুব একটা পাওয়া যাবে না।
এই বিভাগের সব লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।
আসিফ নজরুল, রাজনৈতিক বিশ্লেষক (ফেসবুক থেকে)
news24bd.tv আহমেদ