ভবিষ্যতে কাজের ধরণ বদলে যাবে যেভাবে

ভবিষ্যতে কাজের ধরণ বদলে যাবে যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক

করোনা আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়ে দিয়েছে। আমরা তাবৎ দুনিয়ার কাজ যে ঘরে বসেই করতে পারি সেটা করোনা হাতে কলমে করে বুঝিয়ে দিয়ে গেছে। বিশ্বের অনেক নামি দামি প্রতিষ্ঠান এখন ঘরে বসেই চলে। অফিস যে সব কাজের জন্য দরকার নেই সেটা এখন আমাদের আর বুঝতে বাকি নেই।

 

করোনাকাল শেষেও পৃথিবীর অনেক প্রতিষ্ঠান হয়তো আর কখনোই অফিসে ফিরে যাবে না। ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে বাড়িতে বসেই যে কাজ করা যায়, সেটা করোনাকালে আমাদের জানা হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে এমন আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে কাজের ধরনে। মূলত প্রযুক্তির উন্নয়নই এর পেছনের কারণ।

কোনো প্রতিষ্ঠান হয়তো একটু আগেভাগেই ‘প্রযুক্তিময়’ হবে, কেউবা একটু দেরিতে। তবে পরিবর্তনের ধাক্কা যে অনিবার্য, সেটা করোনাকালে আরও স্পষ্ট হয়েছে। পরিবর্তন বা নতুন নতুন পেশার আগমনের পর নিজেকে তৈরি করার চেয়ে, আগে থেকেই নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হতে হবে। কী কী পরিবর্তন আসতে পারে, সে সম্পর্কেও একটা ধারণা দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।

ভবিষ্যতে যেকোনো জায়গা থেকেই কর্মীদের কাজ, প্রকল্প জমা দেওয়ার চল আরও বাড়বে। এক দশক আগেও কাজের জন্য অফিস-টেবিল-মিটিংরুমের প্রয়োজন ছিল ব্যাপকভাবে। বিশ্বব্যাপী স্বাধীন পেশাজীবীর সংখ্যা বাড়ার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।  


ওমান সাগরে তৈরি হবে ইরানের সর্ববৃহৎ সমুদ্রবন্দর

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে তাই ঘুম হয়নি শ্রাবন্তীর

ট্রাকচাপায় চবি আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্রের মৃত্যু

শতকোটি টাকার মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন শমী কায়সার


এখন শহর বা দেশনির্ভর বিশেষ বিশেষ কাজ বা পেশার বিকাশ ঘটতে দেখা যায়। ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে বিভিন্ন অঞ্চল বা এলাকার পরিবেশ ও জনগোষ্ঠীর দক্ষতার ওপর নির্ভর করে কাজ ও পেশার বিকাশ ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্রে আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠান এ রকম এলাকাভিত্তিক কর্মীদের কাজের সুযোগ তৈরি করছে।  

মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বড় বড় কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। স্বল্পমেয়াদি কাজ, অন ডিমান্ড পজিশনের জন্য কর্মী নিয়োগ বাড়বে আরও। এভাবে কাজের কারণে কর্মীরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী কাজ বাছাইয়ের সুযোগ পাবেন। প্রতিষ্ঠানগুলোও কাজের পরিমাণ ও দক্ষতা অনুসারে কর্মী নিয়োগের সুযোগ পাবে। অ্যাডোবি, উবার, ডেলের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে এমন ধরনের কাজের সুযোগ ধীরে ধীরে বাড়ছে।

ভবিষ্যতে নানা ধরনের ‘স্মার্ট’ কাজের সংখ্যা ও পরিধি বাড়বে। একদিকে যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর কাজের ধরন বাড়বে, তেমনি মানুষ ও যন্ত্রের সংযোগে নতুন নতুন কাজ তৈরি হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নির্বাহী ও কর্মীদের আরও বেশি সৃজনশীল কাজে যুক্ত করবে। রোবটিকস ও অটোমেশনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে মানুষের অংশগ্রহণ কমে আসবে।

পশ্চিমা দুনিয়ায় অনেক দিন ধরেই কাজ ও জীবনের মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ভবিষ্যতে কর্মী ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে কাজের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনবে প্রতিষ্ঠানগুলো। জলবায়ু পরিবর্তন, সাম্য-বৈষম্যহীন সমাজের ধারণা কর্মস্থলের পরিবেশ ও কাজের ধরনে পরিবর্তন আনবে। ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য যেমন সততা, দায়িত্বশীলতা, অন্য দেশ, জাতি-বর্ণের মানুষের প্রতি সম্মান, প্রতিষ্ঠানের তথ্যের নিরাপত্তা-গোপনীয়তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিশীল আচরণ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে নিয়োগের ক্ষেত্রে।

ভবিষ্যতে কাজের ধরণ পুরোপুরি পাল্টে যাবে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। মানুষ অনেক জটিল কাজও ঘরে বসে সহজেই করে ফেরতে পারবে। আবার আরামদায়ক কাজের পরিবেশ, কর্মীবান্ধব কাজ, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং স্মার্ট কাজের ধরণ হবে। এরপর হয়ত মানুষ আর নয়টা পাঁচটা অফিস করবে না।  

news24bd.tv আয়শা