প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি : আ.লীগের হুংকার, ক্ষমা চাইলেন মিনু

প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি : আ.লীগের হুংকার, ক্ষমা চাইলেন মিনু

অনলাইন ডেস্ক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবজ্ঞা ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার’ ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে ক্ষমা চাইতে বলেছিল আওয়ামী লীগ। এ জন্য তাকে ৭২ ঘণ্টার সময়ও বেধে দেয়া হয়। সেই সময় শনিবার সন্ধ্যায় শেষ হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলেও পরদিন তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন।

যোগাযোগ করা হলে মিজানুর রহমান মিনু এই বিবৃতিটি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

রোববার (৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন। এদিন দুপুরে তিনি এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।

বিবৃতিতে মিনু উল্লেখ করেছেন, ‘আমার বক্তব্যের জন্য যারা ব্যথিত হয়েছেন, মর্মাহত হয়েছেন, আমি তাদের নিকট দুঃখ প্রকাশ করছি।

মিনু আরও বলেন, আমি এই মহানগরীতে জন্মগ্রহণ করে দীর্ঘদিন রাজশাহীবাসীকে নিয়ে রাজনৈতিক নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছি। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ সকল আন্দোলনে পাশে পেয়েছি। সুতরাং কোন ব্যক্তি বিশেষ বা গোষ্ঠী বিশেষকে উদ্দেশ্য করে আক্রোশমূলক বক্তব্য প্রদান করা আমার স্বভাববহির্ভূত। তাই সকলকে আমার বক্তব্যে ষড়যন্ত্র না খোঁজার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।


অভাব দুর হবে, বাড়বে ধন-সম্পদ যে আমলে

সংবাদ উপস্থাপনায় ও নাটকে রূপান্তরিত দুই নারী

করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে বাধা নেই ইসলামে

কমেন্টের কারণ নিয়ে যা বললেন কবীর চৌধুরী তন্ময়


এর আগে গত মঙ্গলবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মিজানুর রহমান মিনু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আজ রাত, কাল আর সকাল নাও হতে পারে। ৭৫ মনে নাই?’ সেই সমাবেশে মিনু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন। এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে নগর আওয়ামী লীগ। পরদিনই বিক্ষোভ-সমাবেশ করে দলটি। সেই সমাবেশ থেকে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মিনুকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

লিটন ঘোষণা দেন, এই সময়ের মধ্যে মিনু ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আর বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এক প্রতিবাদলিপিতে মিনুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। নগর ওয়ার্কার্স পার্টির বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে মিনুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ এবং আরেকটি ১৫ আগস্টের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। গত শুক্র ও শনিবার বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেন। মিনু এত সাহস কোথায় পেলেন সেই প্রশ্নও তোলেন ওবায়দুল কাদের। অবশেষে মিজানুর রহমান মিনু গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন।

মিনুর দুঃখ প্রকাশ নিয়ে আওয়ামী লীগ কী ভাবছে জানতে চাইলে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার  বলেন, ‘সেটা আবার আলোচনার বিষয়। আমরা আবার একটু আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব। ’

এদিকে মিনুর বিবৃতি প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘এটা মিজানুর রহমান মিনুর একান্তই ব্যক্তিগত বক্তব্য। এ ব্যাপারে বিএনপি কী বলছে আমরা সেটা শুনতে চাই। ’

তিনি বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিনু অতীতে জঙ্গিবাদে মদদ দিয়েছেন। সেটা প্রমাণিত। তাই অতীতের মতো এখনও তিনি জঙ্গিবাদ কিংবা ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিনা সে ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করছি। ’

news24bd.tv/আলী