করোনা পরবর্তী অর্থনীতিতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে একগুচ্ছ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা।
সংস্থাটি বলছে, বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে দূতাবাসগুলোতে ব্র্যান্ডিং করার পাশাপাশি চলতি বছরের জুলাই মাসে বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২১ আয়োজন করবে বিডা। নিউজ টোয়েন্টিফোরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিনিয়োগ বাড়াতে এমন নানা কর্মসূচির কথা তুলে ধরেছেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।
দেশে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডা।
বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস পোর্টালের মাধ্যমে এখন বিনিয়োগকারীদের ১১টি সংস্থার ৪১ টি সেবা দিচ্ছে সংস্থাটি। তবে খুব শিগিগির দুই সিটি করপোরেশনে ট্রেড লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করতে এর আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া মুজিববর্ষে বিনিয়োগ আকর্ষণে বিডা আয়োজন করছে বিনিয়োগকারীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
অনুমোদনের অপেক্ষায় সিএমপির ছয় থানা
আটকে গেল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াই
শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম মাদ্রাসার শিক্ষক প্রেপ্তার
বিডার দেয়া সবশেষ হিসাব বলছে,২০১৯ সালে সংস্থাটির মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়া দেশি বিনিয়োগ প্রকল্প প্রস্তাবের সংখ্যা ছিল ৯৬৮ টি যেখানে বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব ছিল ১৮৫।
তবে ২০২১ সালের মাত্র ২ মাসে বিনিয়োগ প্রকল্প নিবন্ধিত হয়েছে শতাধিক যেখানে ৭টি বিদেশী কোম্পানির কাছে মিলেছে ৪৯ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব; যা নিয়ে আশার কথা বলছে বিডা কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বব্যাংকের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস বা সহজে ব্যবসা সূচকে ১৯০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৮তম। যা এবার ১শর মধ্যে উন্নীত করতে সমন্বিতভাবে কাজ চলছে বলেও জানান বিডা চেয়ারম্যান।
তবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে এখনো অন্যতম চ্যালেঞ্জ করপোরেট কর হার। প্রতিবেশি দেশ ভারত শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া কিংবা ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর এখনো সর্বোচ্চ যা সাড়ে ৩২ শতাংশ। জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ৮ মাসে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ বাস্তবায়ন হলে অন্তত ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে জানিয়েছে বিডা।
news24bd.tv নাজিম