হাজারো সেলাম নেতা!

মিল্লাত হোসেন

হাজারো সেলাম নেতা!

Other

৬ মার্চ ১৯৭১ পর্যন্তও বঙ্গবন্ধু বাংলার অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন না। ১৯৭০ এও তাঁর সমকক্ষ কেউ কেউ ছিলেন। আর ছিলেন-মওলানা ভাসানী। ধারে, ভারে, বয়সে, আন্তর্জাতিক প্রভাব-পরিচিতি মিলিয়ে মওলানা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর চেয়েও বড় নেতা।

১৯৬৬ সালের ৬-দফা একটি স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর হিসেবে চিহ্নিত করে তোলে শেখ মুজিবুর রহমানকে। তখনো তিনি বঙ্গবন্ধু হননি; অনেকেরই মুজিব ভাই, কারো কাছে শেখের বেটা কিংবা শুধুই শেখ মুজিব। (১৯৬৯ এর ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়)

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এর ভেতর দিয়ে "আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা' থেকে তাঁকে মুক্ত করে আনার পরেই হয়ে তিনি ওঠেন বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক। এখন আমরা জানি যে, তিনি সত্যিই আগরতলা গিয়েছিলেন! মানে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ এর আগে থেকেই তিনি পরিকল্পনা করছিলেন।

লক্ষণীয় যে, ৬৯ এর আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কিন্তু মওলানা স্বয়ং!


শত বিঘায় শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি

৩৩৭ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি

আটকে গেল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াই

নারীকে ধর্ষণের পর ইয়াবা দিয়ে ধরিরে দেয় ছাত্রলীগ নেতা


১৯৭০ এর নির্বাচনে বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক থেকে তিনি জনতার নায়ক হয়ে ওঠেন নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট পেয়ে। ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের অভাবনীয় সফলতার অব্যবহিত পরে শক্তিশালী সংগঠন ও ব্যাপক জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও কেন যেন মওলানা নির্বাচনটি বয়কট করলেন, আর ছিটকে পড়লেন এই ভূখণ্ডের নেতৃত্বে শীর্ষাসন থেকে।

আর ১৯৭১ এর ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তর্জনী উঁচিয়ে "আর দাবায়ে রাখতে পারবা না"র হুংকারে উঠলেন নেতৃত্বের অনতিক্রম্য শিখর হিমাদ্রিতে। বাংলার ইতিহাসে রাখলেন অনপনেয় স্বাক্ষর।

হাজারো সেলাম নেতা!

মিল্লাত হোসেন, বিচারক

news24bd.tv নাজিম