বর্ণবাদ মানেই হলো সাদা কালোয় ভেদাভেদ। বিশ্বব্যাপী বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশ্বে বিভিন্ন দেশে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। অথচ খোদ ব্রিটিশ রাজপরিবারেই বর্ণবাদের ভয়াবহ চিত্র।
প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মের্কেল ব্রিটিশ রাজপরিবারের বর্ণবৈষম্য নিয়ে বিস্ফোরক সব মন্তব্য নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, তার ছেলে অর্চির গায়ের রংয়ের জন্য তাকে প্রিন্স বানাতে চায়নি ব্রিটেনের রাজপরিবার।
মেগানের মা কৃষ্ণাজ্ঞ, বাবা শ্বেতাঙ্গ। নিজে কিছুদিন মডেলিং করেছেন।
রবিবার সিবিএস-এ প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে মেগান বলেন, “তারা আমার সন্তানকে প্রিন্স করতে চায়নি। আমি গর্ভবতী থাকতেই এসব আলোচনা শুনতে হয়েছে। ছেলে হবে কি মেয়ে হবে, সেটা কোনও ব্যাপার ছিল না। মূল ব্যাপার ছিল তার গায়ের রং কেমন হবে। ”
নারীর কর্মসংস্থান হলেও বেড়েছে নির্যাতন নিপীড়ন
অস্তিত্ব রক্ষায় এখনো সংগ্রামী নারী, তবে আজো ন্যয্যতা আর নিরাপত্তা বঞ্চিত
সাইবার অপরাধের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা
মেগান আরও বলেন, “সন্তানের গায়ের রং নিয়ে উদ্বেগের কথা রাজ পরিবারের বিশেষ কোনও সদস্য তাকে জানিয়েছিলেন। ”
তবে সাক্ষাৎকারে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি মেগান।
তিনি জানান, “আমার সব থেকে বড় ভুলটি হল আমি রাজ পরিবারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম সেখানে আমাকে সুরক্ষিত রাখা হবে। ”
গতবছরের জানুয়ারিতে হ্যারি ও মেগান ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতিনিধিত্ব না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের জীবনযাপন করার জন্য ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে যান। এখন তারা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন।
জনপ্রিয় উপস্থাপক অপেরা উনফ্রেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মগোন এই তথ্য ফাঁস করে দেন।
সূত্র: বিবিসি।
news24bd.tv/আয়শা