পুঁজিবাদের ঘাড় তাজা করা নারী দিবসের কোন গুরুত্ব আমার কাছে আর নেই। তবুও বছরের তিনশো পয়ষট্টি দিনই আমি নারীদের বলতে চাই, সমতার জন্য নারীকেই প্রস্তুত হতে হবে। কোন পুরুষ সমতা এনে নারীর হাতে তুলে দিয়ে বলবেনা,‘এই নাও’।
এটা আপন যোগ্যতায়, সক্ষমতায়, সাহসে অর্জন করতে হয়।
আরেকজনের পকেটে জীবন ঢুকিয়ে রেখে, স্বামীর গাড়ি বাড়িকে ‘আমার’ বলে, সেইফ জোনে বসে বা এসাইলামের ধান্ধা নিয়ে নিজের জন্য সমতার লড়াই করা যায়না।সমতা এক ভীষণ অসম এবং নি:সঙ্গ লড়াই। তার জন্য সবার আগে নিজের জীবনটা নিজের হাতে নিতে হয়। নিজের মুক্তির লড়াই নিজেকেই করতে হয়।
তবুও জীবন চাইলে প্রতিটি মেয়েকে নিজের যা আছে, যতটুকু আছে তাই দিয়েই এই মুক্তির লড়াই করে যেতেই হবে। সবার আগে লড়াই করতে হবে নিজের সাথে। তোতাপাখির মতো যেসব ন্যাকামো এতোদিন শিখেছে আগে তা ভুলতে হবে। ঘাড়ের উপর মাথাটা শক্ত করে বসাতে হবে।
নারীর কর্মসংস্থান হলেও বেড়েছে নির্যাতন নিপীড়ন
অস্তিত্ব রক্ষায় এখনো সংগ্রামী নারী, তবে আজো ন্যয্যতা আর নিরাপত্তা বঞ্চিত
সাইবার অপরাধের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা
নিজের খাওয়া পরা সাচ্ছন্দ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করে কিভাবে সম মর্যাদা আশা করে মানুষ? দাতা গ্রহীতা কি কখনো এক হয় ?
পুরুষকেও মুক্ত হতেই হবে। মানুষ হতে হবে। পুরুষকে ভুলে যেতে হবে সে নারীর অন্নদাতা, আশ্রয়দাতা, রক্ষাকর্তা...এসব ভুলে যেদিন পুরুষ নারীর সহযোদ্ধা হতে পারবে সেদিন আমরা একসাথে সত্যিকারের মানব দিবস পালন করবো।
সাদিয়া নাসরিন,উন্নয়ন কর্মী
news24bd.tv/আয়শা