৫ বছরে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন ৪৮৭ নারী শ্রমিক

Other

মধ্যপ্রাচ্যসহ বৈদেশিক শ্রবাজারে ১০ লাখ নারীর কর্মসংস্থান হলেও বেড়েছে নির্যাতন নিপিড়ন ও মৃত্যুর ঘটনা। গেল পাঁচ বছরে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন অন্তত ৪৮৭ নারী। আর শুধু করোনাকালেই সব হারিয়ে বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ফিরেছেন অন্তত ৫০ হাজার নারী কর্মী। সংকট নিরসনে দক্ষ নারী কর্মী তৈরির পাশাপাশি নারী অভিবাসন নীতিমালা বাস্তবায়নের উপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা ।

নব্বইয়ের দশক থেকে এ পর্যন্ত ৯ লাখ ২৪ হাজার ৪১৫ বাংলাদেশী নারী কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। মূলত ২০১৫ সালে সৌদি সরকারের সাথে সমঝোতা সইয়ের পর থেকেই বিদেশের শ্রমবাজারে বাড়তে থাকে বাংলাদেশী নারী কর্মীর আধিক্য। দেশটিতে বর্তমানে সাড়ে তিন লাখ নারী কাজ করছেন যা বাংলাদেশের মোট নারী অভিবাসী কর্মীর ৩৮ শতাংশ।

তবে বিপুল সংখ্যক নারী কর্মী পাঠানোর বিপরীতে বেড়েছে নির্যাতন ও নিপিড়নের ঘটনাও।

বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে ৪৮৭ নারীর মরদেহ দেশে ফিরেছে। তাদের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যাই করেছেন অন্তত ৮৬ জন।  


চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হলো প্রতিবন্ধী নারীকে

অর্থনীতির নতুন পথ সন্ধানের এখনই সময়


করোনাকালে লকডাউন থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শারিরিক মানসিক নির্যাচনের সাথে যুক্ত হয়েছে অর্থনৈতিক কষ্টও। এই সময়ে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার নারী কর্মী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০; মানবপাচারের যতগুলো মামলা হয়েছে তাতে অন্তত ১ হাজার ৭৯১ জন নারী মানবপাচারের শিকার।  

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেরত আসাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি, নির্যাতন সহিংসতা এবং পাচার বন্ধে নারী অভিবাসন নীতিমালা বাস্তবায়ন অপরিহার্য।  

সৌদি থেকে ফেরত আসা ১১০ নারীর সাথে কথা বলে ২০১৯ সালে একটি প্রতিবেদন দেয় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। যেখানে বলা হয় ৩৫ শতাংশ নারী শারিরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার আর ৪৪ শতাংশ বেতন পাননি ঠিকমতো।

news24bd.tv নাজিম