নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও চিফ সার্ভেয়ার ড. এসএম নাজমুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার আসামিকে আদালতে হাজির করে জামিনের আবেদন করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুভ আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তৎকালীন চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও চিফ সার্ভেয়ার একেএম ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দুদকের টিম।
ফখরুল বেশ কিছুদিন জেল খেটে পরে জামিনে মুক্ত হন। তার পথ ধরেই আরেক চিফ সার্ভেয়ার নাজমুল হক এবার দুদকের জালে ধরা পড়লেন।
দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের তত্ত্বাবধানে ও দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ ও জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি একটি টিম ড. এসএম নাজমুল হককে গ্রেপ্তার করে। পরে দুদক কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে নাজমুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম দুদকের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের কোম্পানির একটি জাহাজের নকশা অনুমোদন ও জাহাজের নামকরণে অনাপত্তিপত্র দিতে গড়িমসি করেন ড. নাজমুল হক। একপর্যায়ে ড. নাজমুল এ কাজের জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। তার মধ্য প্রথম কিস্তিতে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় কিস্তির পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার।
ওই টাকা নেওয়ার জন্য নাজমুল হক সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সেগুন রেস্টুরেন্টে হাজির হন। দুদকের টিমও ঘুষ লেনদেনের তথ্য আগাম জানতে পেরে সেখানে হানা দিয়ে পাঁচ লাখ টাকাসহ তাকে হাতেনাতে আটক করে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
