দুর্নীতির মামলায় সংসদ সদস্য পদ হারাচ্ছেন হাজী সেলিম

দুর্নীতির মামলায় সংসদ সদস্য পদ হারাচ্ছেন হাজী সেলিম

অনলাইন ডেস্ক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের করা আপিলের রায়ে সাজা কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দেয় আদালত। দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় হাজী মোহাম্মদ সেলিম সংসদ সদস্য (এমপি) পদ হারাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

সংবিধান অনুযায়ী তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে না বলেও জানান দুদকের এই আইনজীবী।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

এরপর দুদকের আইনজীবী এ মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশের মামলার যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারককে ওই নথি প্রেরণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।


একসঙ্গে ইয়াবা সেবন ও ধর্ষণ শেষে তৃতীয় লিঙ্গের আলমগীরকে হত্যা

ছেলের স্ত্রী নিয়ে পালালো শ্বশুর!

লঞ্চে প্রবাসীর স্ত্রীকে যুবলীগ নেতার ধর্ষণ

কারাগার থেকে যেভাবে পালালো হত্যা মামলার আসামি


২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লালবাগ থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট তার সাজা বাতিল করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে হাজি সেলিমের আপিল পুনরায় শুনানি করতে বলা হয়। এরপর প্রায় পাঁচ বছর ওই আপিলের শুনানি হয়নি।

সম্প্রতি আপিলটি শুনানির উদ্যোগ নেয় দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতে থাকা মামলার যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন। এরপর কয়েক দিবস শুনানি শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিলটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। দুর্নীতির এ মামলায় হাজী সেলিম এখন জামিনে আছেন।

এ মামলায় দুদকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।

news24bd.tv/আলী