জেলে গিয়ে প্রথম রাতে কী করলেন ভণ্ড বাবা

ফাইল ছবি

জেলে গিয়ে প্রথম রাতে কী করলেন ভণ্ড বাবা

নিউজ ২৪ ডেস্ক

আশ্রমের গোপন ডেরায় ‘রাসলীলা’ চালাতেন তিনি। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, দামি দামি গাড়ি, সিনেমার হিরো, বিদেশযাত্রা— আমোদ-প্রমোদের কোনও আয়োজনেরই ঘাটতি ছিল না তাঁর জীবনে। কিন্তু গত ৪৮ ঘণ্টায় বদলে গেছে অনেক কিছু। জেলে গিয়েই ঘুম উড়ে গেছে গুরমিত রাম রহিমের।

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, রোহতকের সুনারিয়ার জেলে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ধর্মগুরু গুরমিতকে রাখা হয়েছে। জেলের কয়েদি নম্বর ১৯৯৭ এখন ভণ্ড গুরুর পরিচয়। সেখানেই প্রথম রাতে না ঘুমিয়ে কাটাতে হয়েছে তাকে। শুধু তাই নয়, রাতে মাত্র একটি রুটি এবং দুধ খেয়ে ডিনার সারেন তিনি।

জেল সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘণ্টাখানের যোগ ব্যায়াম করে শুতে যান তিনি। ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে কী সাজা পেতে হবে, তা ভেবেই সম্ভবত ঘুম উড়েছে বাবাজির।

যদিও, বিতর্ক রাম রহিমের পিছু ছাড়ছে না। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, জেলেও একজন নারী রাম রহিমের সঙ্গে রয়েছেন। জেলের মধ্যেও আছে বাবার ভক্ত। তারাই তাকে নারী সরবরাহ করেছেন। সরকারি তরফে অবশ্য এমন দাবি উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, সাধারণ কয়েদিদের তুলনায় কোনও বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না রাম রহিমকে।

একটি বিশেষ সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, জেলে থাকার জন্য এক কামরার একটি বিশেষ সেল দেওয়া হয়েছে রাম রহিমকে। সেখানে নিজের ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে একজন থাকতে পারে।

রাম রহিমের বাড়বাড়ন্তের পিছনে বিজেপি-র প্রশয়কেই দায়ী করা হচ্ছে। যদিও এদিন ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে নাম না করে রাম রহিমের সমর্থকদের হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, ধর্মের নামে কেউ যদি আইনকে হাতে নেয়, তাহলে সহ্য করা হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

নিন্দুকরা অবশ্য বলছেন, আরও আগে সতর্ক হলে ডেরা সচ্চা সওদার সমর্থকদের গুণ্ডাগিরি সহজেই আটকে দিতে পারত সরকার। নিরীহদের প্রাণ বাঁচতো, রক্ষা পেত সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি।  

সম্পর্কিত খবর