কোম্পানীগঞ্জ থমথমে

কোম্পানীগঞ্জ থমথমে

Other

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামের এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আহত গুলিবিদ্ধদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর গুলিবিদ্ধ আহত হৃদয়কে গুরতর আহত অবস্থায় উন্নত

চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১২টা) থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সর্বশেষ রাত ১০টার দিকে পুনরায় সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলাউদ্দিন মারা যান।

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরএমও সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, হাসপাতালে আগতদের মধ্যে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল জানান, নিহত আলাউদ্দিন তার সমর্থক।

তিনি বলেন, আলাউদিন যুবলীগ কর্মী। আমার বাড়ির পাশেই তার বাড়ি। তিনি এ হামলার ঘটনায় কাদের মির্জাকে দায়ী করেন।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের ওপর মির্জা কাদেরের নেতৃত্বে হামলার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারের রূপালি চত্তরে আয়োজিত প্রতিবাদ সভার শেষ মুহূর্তে এই হামলার ঘটনা ঘটে।


মোংলা বন্দরে কমছে গাড়ি আমদানি, বাড়ছে রাজস্ব

মাদারীপুরে দুই শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ৩ লাখ টাকা

পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ছয়জনকে পদায়ন

বাড়ির আধা কি.মি. দূরে বাঁশঝাড়ে ছাত্রের মরদেহ


এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও দোকানপাট এবং অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ সদস্য ও সংঘর্ষে লিপ্ত উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে বসুরহাটের রূপালি চত্তরে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সমাবেশ চলাকালে সন্ধ্যা ৬টার দিকে হঠাৎ করে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা পৌরসভা ভবন থেকে বের হয়ে ধাওয়া দেয়। এসময় মাকসুদা গার্লস হাইস্কুল এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর চালায়। মুহূর্তের মধ্যে পুরো কোম্পানীগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তবে ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ দুপক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

পুরো বসুরহাট বাজার জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ সদস্য এবং উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়।

এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ফোন করলে তিনি ফোন কেটে দেন। তবে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, গতকাল যারা মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের মঞ্চ ভাঙচুর করেছে জনগণ আজকে তাদের প্রতিহত করেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

news24bd.tv তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক