করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই পর্যটনের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে থাইল্যান্ড। আবার পর্যটকদের জন্য ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। তবে আবার দুই সপ্তাহ যেন তাদের আনন্দেই কাটে সে ব্যবস্থাও করছে দেশটির সরকার।
পর্যটকেরা চাইলে বিলাসবহুল ইয়ট বা পালতোলা নৌকায় কাটাতে পারবে তাদের কোয়ারেন্টাইন।
তবে সঙ্গে করোনা নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। আর টিকা নেওয়া থাকলে কোয়ারেন্টিনে থাকারও প্রয়োজন নেই।বিবিসি জানায়, সোমবার থাই সরকার এক ঘোষণা জানায়, দেশটিতে কেউ ভ্রমণ করলে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করে যেতে হবে। অন্যথায় করোনা নেগেটিভ সনদ সঙ্গে নিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন কাটাতে হবে।
ইতোমধ্যে নতুন উদ্যোগটির ট্রায়ালও শুরু করে দিয়েছে থাইল্যান্ড। কমপক্ষে ১০০ নৌকা এরই মধ্যে নামানো হয়েছে। এখানে কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রত্যেকের কব্জিতে একটি করে স্মার্ট ডিভাইস পরিয়ে দেওয়া হবে, যেটি তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে, শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ সম্পর্কেও তথ্য দেবে। ডিজিটাল এই ডিভাইসটি সমুদ্রের ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছে থাই সরকার।
আরও পড়ুনঃ
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস আচরণ, হাঁটু মুড়ে সন্ন্যাসিনীর আবেদন
সারাদেশে নিয়োগ দেবে ইবনে সিনা ট্রাস্ট
কাকে উদ্দেশ্য করে তাহসানের ৫ শব্দের এমন স্ট্যাটাস
জিতেও বিদায় নিতে হলো রোনালদোর জুভেন্টাসকে
থাইল্যান্ডের অর্থনীতির অনেকটাই পর্যটননির্ভর। করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই পর্যটন খাত। করোনা পরিস্থিতির আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার আসত। মহামারির পর তা কমে দৈনিক কয়েকশতে দাঁড়ায়। পর্যটন শিল্পকে জাগিয়ে তুলতে সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত অন্যতম।
গত বছরে মার্চ থেকে লকডাউনে চলে যায় থাইল্যান্ড। এরপর অক্টোবর থেকে ধীরে ধীরে বিদেশিদের জন্য পুনরায় খুলতে শুরু করে। গত জানুয়ারিতে গলফ মাঠে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করেছিল দেশটি।
news24bd.tv / নকিব